বাণী

(সখি) ব'লো বঁধুয়ারে নিরজনে
দেখা হ'লে রাতে ফুল-বনে।।
কে করে ফুল চুরি জেনেছে ফুলমালী
কে দেয় গহীন রাতে ফুলের কুলে কালি
জেনেছে ফুলমালী গোপনে।।
ও-পথে চোর-কাঁটা, সখি, তায় বলে দিও
বেঁধে না বেঁধে না লো যেন তার উত্তরীয়।
এ বনফুল লাগি' না আসে কাঁটা' দলি'
আপনি যাব চলি' বঁধুয়ার কুঞ্জ-গলি
বিনা মূলে বিকাইব ও-চরণে।।

বাণী

চাঁদিনী রাতে কানন-সভাতে আপন হাতে গাঁথিলে মালা।
সয়েছি বুকে নিবিড় সুখে তোমারি হাতের সূচিব জ্বালা।।
আজিও জাগে লোহিত রাগে রঙিন গোলাবে তাহারি ব‍্যথা
তব ও গলে দুলিব ব’লে দিয়েছি কুলে কলঙ্ক-কালা ।।
যদি ও গলে নেবে না তুলে কেন বধিলে ফুলের পরান
অভিমানে হায় মালা যে শুকায় ঝ’রে ঝ’রে যায় লাজে নিরালা।।

নাটকঃ‘আলেয়া’

বাণী

	ছাড়িতে পরান নাহি চায় তবু যেতে হবে হায়
	মলয়া মিনতি করে তবু কুসুম শুকায়॥
		রবে না এ মধুরাতি
		জানি তবু মালা গাঁথি
মালা	চলিতে দলিয়া যাবে তবু চরণে জড়ায়॥
		যে কাঁটার জ্বালা সয়ে
		উঠে ব্যথা ফুল হয়ে
	আমি কাঁদিব সে-কাঁটা লয়ে নিশীথ বেলায়॥
		নীরবে রবে যবে পরবাসে
		আমি দূর নীল আকাশে
	জাগিব তোমারি আশে নূতন তারায়॥

বৈতালিক

বাণী

নামাজ পড়, রোজা রাখ, কল্‌মা পড় ভাই।
তোর আখেরের কাজ করে নে, সময় যে আর নাই।।
	সম্বল যার আছে হাতে
	হজ্বের তরে যা কা'বাতে,
জাকাত দিয়ে বিনিময়ে শাফায়াত যে পাই।।
ফরজ তরক্ ক'রে কর্‌লি করজ ভবের দেনা,
আল্লাহ ও রসুলের সাথে হ'ল না তোর চেনা। 
	পরানে রাখ কোরআন বেঁধে,
	নবীরে ডাক কেঁদে কেঁদে্‌
রাত্রি দিন তুই কর মোনাজাত — আল্লাহ্ তোমায় চাই।।

বাণী

আমি আছি  ব'লে দুখ পাও তুমি তাই আমি যাব চ'লে
এবার ঘুমাও প্রদীপের কাজ শেষ হয়ে গেছে জ্ব'লে।।
	আর আসিবে না কোন অশান্তি
	আর আসিবে না ভয়ের ভ্রান্তি
আর ভাঙিব না ঘুম নিশীথে গো 'জাগো প্রিয়া জাগো' বলে।।
হয়তো আবার সুদূর শূন্য আকাশে বাজিবে বাশিঁ,
গোপী-চন্দন গন্ধ আসিবে বাতায়ন পথে ভাসি'।
	চম্পার ডালে বিরহী পাপিয়া
	'পিয়া পিয়া' বলে উঠিবে ডাকিয়া
বৃন্দাবন কি ভাসিবে (আসিবে) সেদিন রোদন-যমুনা জলে।।

বাণী

জানি আমার সাধনা নাই আছে তবু সাধ।
তুমি আপনি এসে দেবে ধরা দূর-আকাশের চাঁদ।।
	চকোর নহি মেঘও নহি
	আপন ঘরে বন্দী রহি’
আমি শুধু মনকে কহি কাঁদ নিশি দিন কাঁদ।।
কূল-ডুবানো জোয়ার কোথা পাব হে সুন্দর?
হে চাঁদ আমি সাগর নহি পল্লী-সরোবর।
	নিশীথ রাতে আমার নীরে,
	প্রেমের কুমুদ ফোটে ধীরে,
মোর ভীরু প্রেম যেতে নারে ছাপিয়ে লাজের বাঁধ।।