আমি নিজেরে আড়াল রাখি
বাণী
আমি নিজেরে আড়াল রাখি, বঁধু সারাদিন গৃহ-কাজে। হাসে গুরুজন আশেপাশে তাই চাহিতে পারি না লাজে।। ওগো প্রিয় তুমি অহরহ কেন বাহির ভবনে রহ? তব মৌন এ অভিমান বুকে কাঁটার মতন বাজে।। আমি তোমারি ঘরের বধূ, বঁধু এ-লাজ তোমারি লাগি’, আমি দিনের কুমুদ কলি, ওগো চাঁদ আমি রাতে জাগি। মোর দেহ গৃহ-কাজ করে তব পায়ে থাকে মন প’ড়ে, মোর লাজ-গুণ্ঠন টানি’ লাজ দিও না সভার মাঝে।।
এ জনমে মোদের মিলন হবে না
বাণী
এ জনমে মোদের মিলন হবে না আর, জানি জানি। মাঝে সাগর, এপার ওপার করি মোরা কানাকানি।। দুজনে দুকূলে থাকি’ কাঁদি মোরা চখা-চখি, বিরহের রাত পোহায় না আর বুকে শুকায় বুকের বাণী।। মোদের পূজা আরতি হায় চোখের জলে, গহন ব্যথায়, মোদের বুকে বাজায় বীণা বেদনারি বীণাপাণি।। হেথায় মিলন-রাতের মালা ম্লান হয়ে যায় প্রভাত বেলা, সকালে যার তরে কাঁদি, বিকালে তায় হেলাফেলা। মোদের এ প্রেম-ফুল না শুকায় নিঠুর হাতে কঠোর ছোঁওয়ায়, ব্যথার মাঝে চির-অমর মোদের মিলন-কুসুমদানি।।
জাগত সোওত আঁঠু জাম
বাণী
জাগত সোওত আঁঠু জাম রাহত প্রভু মনমে তুমহারে ধ্যান। রাত আধেঁরি মে চাঁদ সমান প্রভু উজ্জ্বল কর মেরা প্রাণ।। এক সুর বোলে ঝিওর সারি রাত এ্যায়সে হি জপত হুঁ তেরা নাম হে নাথ, রুম রুম মে রম রহো মেরে এক তুমহারা গান।। গয়ি বন্ধু কুটুম স্বজন ত্যজ দিনু ম্যায় তুমহারে কারণ, তুমহো মেরে প্রাণ-আধারণ, দাসী তুমহারী আন।।
নীরব সন্ধ্যা নীরব দেবতা খোলো
বাণী
নীরব সন্ধ্যা, নীরব দেবতা খোলো মন্দির দ্বার। ম্লান হ’ল বেদনায় অঞ্জলি নিশি-গন্ধ্যার।। নিভিয়া যায় হায় অঞ্চল-তলে নয়নের প্রদীপ নয়নের জলে, শুকাইল নিরাশায় চন্দন ফুলদল তোমার বরণ ডালার।। মৌন র’বে আর কতকাল বল পাষাণ-বেদীতে, কত জনম কত পূজারিণীর আয়ু-দীপ নিভাইতে। দিনের তপস্যার শেষে সাঁঝ-লগনে আশার চাঁদ কি গো উঠিবে না গগনে, আমার শেষ বাণী তোমার চরণে — নিবেদনের ক্ষণ পাব নাকি আর।।
দোলে প্রাণের কোলে প্রভূর নামের মালা
বাণী
দোলে প্রাণের কোলে প্রভূর নামের মালা। সকাল সাঁঝে সকল কাজে জপি সে নাম নিরালা।। সেই নাম বসন-ভূষণ আমারি সেই নামে ক্ষুধা-তৃষ্ণা নিবারি, সেই নাম লয়ে বেড়াই কেঁদে সেই নামে আবার জুড়াই জ্বালা।। সেই নামরেই নামাবলী গ্রহ তারা রবি শশী দোলে গগন কোলে। মধুর সেই নাম প্রাণে সদা বাজে, মন লাগে না সংসার কাজে সে নামে সদা মন মাতোয়ালা।। আদর-সোহাগ মান -অভিমান আপন মনে তার সাথে; কাঁদায়ে কাঁদি, পায়ে ধ'রে সাধি, কভু করি পূজা, কভু বুকে বাঁধি, আমার স্বামী সে ভুবন-উজালা।।