বাণী

চম্পা পারুল যূথী টগর চামেলা।
আর সই, সইতে নারি ফুল-ঝামেলা।।
	সাজায়ে বন-ডালি,
	বসে রই বন-মালি
যা'রে দিই এ ফুল সেই হানে হেলাফেলা।।
	কে তুমি মায়া-মৃগ
	রতির সতিনী গো
ফুল নিতে আসিলে এ বনে অবেলা।।
	ফুলের সাথে প্রিয়
	ফুল মালরে নিও
তুমিও এক সই, আমিও একেলা।।

বাণী

কবে সে মদিনার পথে, গিয়াছে সুজন।
বহায়ে নয়ন বারি, ভিজিল বসন।।
	রমজানের ঐ চাঁদ নবী,
	পাঠাইলেন নূরের খুবী,
পাগল করে আমার হিয়া করেছে হরণ।।
	পশুপাখি তরুলতা,
	তারা শুধায় পারের কথা,
আমি একলা বসে ভাবছি হেথা নবীজীর কারণ।।
	বেড়াই আমি পথে পথে,
	খুঁজে না পাই মদিনাতে,
কোথায় গেলেন পাক মোস্তফা অমূল্য রতন।।
[দুখুমিয়ার লেটোগান, সংগ্রহ ও সম্পাদনা : মুহম্মদ আয়ুব হোসেন, বিশ্বকোষ পরিষদ, কলকাতা, ২০০৩]

রেকর্ড

কবে সে মদিনা পথে গিয়াছে সুজন।
বহায়ে নয়ন-বারি (আমার) ভিজায়ে বদন।।
	রমজানের চাঁদে নবী, 
	পাঠায় সদা নূরের ছবি, 
পাগল করে আমার মন করেছে হরণ।।
	পশুপাখি তরুলতা, 
	তাদের শুধাই পথের কথা, 
কেমনে পাবো সে চাঁদে জীবন-শরণ।।
	খুঁজে সে মদিনা-নাথে, 
	কেঁদে ফিরি পথে পথে, 
কোথা গেলে পাবো আমি ও রাঙা চরণ।।

বাণী

	আমি নহি বিদেশিনী।
(ঐ)	ঝিলের ঝিনুক, বিলের শালুক ছিল মোর সঙ্গিনী।।
		ঐ বাঁধা-ঘাট, ঐ বালুচর
		মাটির প্রদীপ, ঐ মেটে ঘর,
	চেনে মোরে ঐ তুলসীতলার নববধূ ননদিনী।।
	‘বৌ কথা কও’ পাখি,
	বাদ্‌লা নিশীথে মনের নিভৃতে আজও যায় মোরে ডাকি’।
		এত কালো চোখ এলোকেশ-ভার
		এত শ্যাম-মেঘ আছে কোথা আর,
(ঐ)	পদ্ম-পুকুরে মোরে স্মরি’ ঝুরে সখি মোর কমলিনী।।

পাশ্চাত্য সুর

বাণী

	কি নাম ধ'রে ডাকবো তোরে মা তুই দে ব'লে
ওমা	কি নাম ধ'রে কাঁদলে পরে ধ'রে তুলিস কোলে (মাগো)।।
	বনে খুঁজি মনে খুঁজি পটে দেখি ঘটে পূজি
	মন্দিরে যাই কেঁদে লুটাই মাগো —
	পাষাণ প্রতিমা মা তোর একটুও না টলে।।
	কোল যদি না দিবি মাগো, আনলি কেন ভবে,
আমি	জনম নিয়ে এসেছি যে তোর কোলেরই লোভে।
আমি	রইতে নারি মা না পেয়ে, মরণ দে মা তাহার চেয়ে
	এ-ছার জীবনে কোন প্রয়োজন মাগো
	আমি কোটি বার মা মরতে পারি মা যদি পাই ম'লে।।

বাণী

মা! আমার মনে আমার বনে
		ফোটে যত কুসুম দল
সে ফুল মাগো তোরই তরে
		পূজ্‌তে তোরই চরণতল।।

নাটকঃ ‘বিদ্যাপতি’

বাণী

ঝুম্‌কো লতায় জোনাকি, মাঝে মাঝে বৃষ্টি।
আবোল-তাবোল বকে কে, তারও চেয়ে মিষ্টি।।
আকাশে সব ফ্যাকাশে, ডালিম-দানা পাকেনি
চাঁদ ওঠেনি কোলে তার, মা ব’লে সে ডাকেনি।।
রাগ করেছে বাঘিনী, বারো বছর হাসে না
স্বপ্ন তাহার ভেঙ্গে যায়, খোকা কেন আসে না।।
পাথর হয়ে আছে ঝিনুক, দুধের বাটি, দোলনা!
মাকে বলে ‘খোকা কই?’ কিছুই খেলা হ’ল না।।
তেমনি আছে ঘরের জিনিস, কিছুই ভাল লাগে না
পা আছড়ে মা কেঁদে কয় ‘খোকা কেন ভাঙে না!’

চলচ্চিত্র : ‘দিকশূল’