বাণী

তুমি যে আমার আধখানি চাঁদ, আধখানি ঐ আকাশে।
তুমি হাস যবে মোর বুকে থাকি’ ঝলকে জোছনা হাসে।।
	কত বেদনায় মোর হিয়াতল
	ঘন হয়ে আসে যেন দীঘিজল,
তারি বুকে তুমি অমল কমল — দুলিছ দখিনা বাতাসে।।
আমি যে বাঁধিনু খেলাঘরখানি, তুমি যে পুতুল তারি,
বাহিব সেথায় তরণী আমার — তুমি যে অসীম বারি।
	পথগুলি মোর মিশিল যেথায়
	আসিনু ফিরিয়া সেই মোহনায়,
ভালোবাসা তব জীবনে আমার সৌরভ হ’য়ে ভাসে।।

বাণী

তব যাবার বেলা ব’লে যাও মনের কথা।
কেন কহিতে এসে চলে যাও চাপিয়া ব্যথা।।
কেন এনেছিলে ফুল আঁচলে দিতে কাহারে,
কেন মলিন ধূলায় ছড়ালে সে ফুল অযথা।।
পরি’ খয়েরী শাড়ি আসিলে সাঁঝের আঁধারে,
ওকি ভুল সবই ভুল, নয়নের ও-বিহ্বলতা।।
তুমি পুতুল ল’য়ে খেলেছ বালিকা-বেলা,
বুঝি আমারে ল’য়ে তেমনি খেলিলে খেলা।
তব নয়নের জল সে কি ছল, জানাইয়া যাও,
এই ভুল ভেঙ্গে দাও সহে না এ নীরবতা।।

১. পিলু-সিন্ধু — কাহার্‌বা ২. যাও

বাণী

	তুমি রহিমুর রহমান আমি গুণাহগার বান্দা।
	হাত ধ’রে মোর পথ দেখাও য়্যা আল্লাহ্ আমি আন্ধা।।
	(মোর)	সারা জীবন গেল কেটে
		পাঁচ ভুতেরই বেগার খেটে,
(এখন)	শেষের বেলা ঘুচাও আল্লা এই দুনিয়ার ধান্দা।।
(আল্লা)	আমি তোমার বনের পাখি, কেন আমায় ধ’রে —
	রাখ্‌লে মায়ার শিক্‌লি বেঁধে এই দেহ-পিঞ্জরে।
		ব’লে এদের বাঁধা বুলি
		আল্লা তোমায় গেছি ভুলি’,
(এবার)	শিক্‌লি কেটে কাছে ডাকো শেষ কর এই কান্দা।।

বাণী

তোর রূপে সই গাহন ক’রে জুড়িয়ে গেল গা
তোর গাঁয়েরি নদীর ঘাটে বাঁধলাম এ মোর না।।
	তোর চরণের আলতা লেগে
	পরান আমার উঠল রেঙে (রে)
ও তোর বাউরি কেশের বিনুনীতে জড়িয়ে গেল পা।
তোর বাঁকা ভুরু বাঁকা আঁখি বাঁকা চলন, সই,
দেখে পটে আঁকা ছবির মতন দাঁড়িয়ে পথে রই।
	উড়ে এলি’ দেশান্তরী
	তুই কি ডানা-কাটা পরী (রে)
তুই শুকতারারি সতিনী সই সন্ধ্যাতারার জা’।।

বাণী

তুমি সুখে থাক প্রিয়া আমি আজ চ’লে যাই।
তোমারে চাহিয়া জনমে জনমে এই ব্যথা যেন পাই।।
	দুদিনের সাথী দু’দিনের লাগি’
	এসেছিনু আমি তব অনুরাগী,
হৃদয় বাণীতে চেয়েছিনু শুধু আর কিছু চাহি নাই।।
আকাশে তব দিয়ে গেনু ফুল কণ্ঠে গানের মালা,
হয়তো একদা অন্তরে তব জাগিবে স্মৃতির জ্বালা।
	হয়তো বা তব নয়নের কোণে
	নতুনের ছায়া জাগিবে গোপনে,
স্মৃতিটি আমার মুছে যাবে জানি তবু কিছু ক্ষতি নাই —
			এই ব্যথা যেন পাই।।

বাণী

তুমি		হাতখানি যবে রাখ মোর হাতের পরে
মোর		কণ্ঠ হ’তে সুরের গঙ্গা ঝরে।।
তব		কাজল-আঁখির ঘন পল্লব তলে
		বিরহ মলিন ছায়া মোর যবে দোলে
তব		নীলাম্বরীর ছোঁয়া লাগে যেন সেদিন নীলাম্বরে।।
		যেদিন তোমারে পাই না কাছে গো পরশন নাহি পাই,
		মনে হয় যেন বিশ্ব ভুবনে কেহ নাই, কিছু নাই।
		অভিমানে কাঁদে বক্ষে সেদিন বীণ
		আকাশ সেদিন হয়ে যায় বাণী হীন
যেন		রাধা নাই, আর বৃন্দাবনে গো সব সাধ গেছে ম’রে।।