বাণী

(তুই) মা হ’বি না মেয়ে হ’বি দে মা উমা ব’লে
তুই আমারে কোল্‌ দিবি, না আমিই নেব কোলে।।
	মা হয়ে তুই মা গো আমার,
	নিবি কি মোর সংসার-ভার।
দিন ফুরালে আসব ছুটে, মা তোর চরণ-তলে।
(তুই) মুছিয়ে দিবি দুঃখ-জ্বালা, তোর স্নেহ-অঞ্চলে।।
এক হাতে মোর পূজার থালা ভক্তি-শতদল।
(ও মা) আর এক হাতে ক্ষীর নবনী, কি নিবি তুই বল্।
		ওমা কি নিবি তুই বল্।
	মেয়ে হ’য়ে মুক্ত কেশে,
	খেল্‌বি ঘরে হেসে হেসে,
ডাকলে মা তুই ছুটে এসে, জড়াবি মোর গলে।
(তোরে) বক্ষে ধ’রে শিব-লোকে যাব আমি চলে।।

বাণী

পুরুষ	:	তোমারে চেয়েছি কত যুগ যুগ ধরি প্রিয়া।
স্ত্রী	:	এসেছি তাই ফিরে পুন পথিকের প্রীতি নিয়া॥
পুরুষ	:	তোমার নয়নে তাই চাহি ফিরে ফিরে,
স্ত্রী	:	হের তব ছবি প্রিয় মোর আঁখি নীরে।
উভয়ে	:	কত জনম শেষে এসেছি ধরণী তীরে
		কার অভিশাপে ছিনু হায় চির পাশরিয়া॥
স্ত্রী	:	আরো প্রিয় আরো হাতে এ নব বাসর রাতে,
পুরুষ	:	যেয়ো না স্বপন সম মিশায়ে নিশীথ প্রাতে।
স্ত্রী	:	তারার দীপালি জ্বলে হের গো গগন তলে
পুরুষ	:	হের শুক্লা একাদশী চাঁদের তরণী দোলে,
উভয়ে	:	মোদের মিলন হেরি নিখিল ওঠে দুলিয়া॥

বাণী

তোমার সজল চোখে লেখা মধুর গজল গান।
চেয়ে চেয়ে তাই দেখে গো আমার দু’নয়ান।।
	আমার পুঁথির আখর যত
	তোমার মালার মোতির মত,
তাই দেখি আর পাঠ ভুলে যাই, আকুল করে প্রাণ।।
যেমন	বুলবুলি আর রঙিন গোলাব
	লায়লী-মজনু দুইজনে ভাব,
ওদের প্রেমে ধূলির ধরা হল গুলিস্তান।।

নাটিকা: ‘লায়লী-মজনু’

বাণী

তোমাদের দান, তোমাদের বাণী পূর্ণ করিল অন্তর।
তোমাদের রস-ধারায় সিনানি’ হ’ল তনু শুচি-সুন্দর।।
	শান্ত উদার আকাশের ভাষা
	মলিন মর্তে অমৃত পিপাসা,
দিলে আনি’, দিলে অভিনব আশা — গগন-পবন-সঞ্চর।।
	বুলায়ে মায়ার অঞ্জন চোখে
	ল’য়ে গেলে দূর কল্পনা-লোকে,
রাঙাল কানন পলাশে অশোকে — তোমাদের-মায়া-মন্তর।।
	ফিরদৌসের পথ-ভোলা পাখি
	আনন্দ-লোকে গেলে সবে ডাকি’,
ধূলি-ম্লান মন গেলে রঙে মাখি’ — ছানিয়া সুনীল অম্বর।।

বাণী

তব	চঞ্চল আঁখি কেন ছলছল হে।
	হেরি মোরা অবিরল জলে ভাসে কমল
	হেরি আজি কমলে উথলে জল হে।।
	চিরদিন কাঁদায়েছে যে জল নিঠুর
আজি	অশ্রু করেছে তারে একি সুমধুর
বঁধু	সাধ যায় ধরি তব সমুখে মুকুর
যেন	বরষিছে চাঁদ মুকুতাদল হে।
কোন	অকরুণা ভাঙিল হে পাষাণের বাঁধ
তব	কলঙ্ক লেখা গেল ধুয়ে যে হে চাঁদ।
	কাঁদ কাঁদ হে বঁধু তবে বুঝিবে মনে
কত	বেদনা পেলে জল ঝরে নয়নে
আজি	কাঁদিয়া শ্যামল হ'লে নির্মল হে।।

বাণী

তোমারি প্রকাশ মহান, রে নিখিল দুনিয়া জাহান্!
তোমারি জ্যোতিতে রওশন্ নিশিদিন জমিন ও আস্‌মান্‌।।
নিভিল কোটি তপন চাঁদ তোমারে খুঁজিয়া প্রভু,
কত দাউদ ঈশা মুসা করিল তব জয়গান।।
তোমারে কত নামে হায় ডাকিছে বিশ্ব শিশুর প্রায়,
কত নামে পূজে তোমায় ফেরেশতা হুর পরী ইনসান্।।