বাণী

তোমার আসার আশায় দাঁড়িয়ে থাকি একলা বালুচরে
নদীর পানে চেয়ে চেয়ে মন যে কেমন করে।।
অনেক দূরে তরী বেয়ে আসে যদি কেউ,
আমার বুকে দুলে ওঠে উজান নদীর ঢেউ;
নয়ন মুছে চেয়ে দেখি সে গিয়েছে স'রে।।
আঁচল-ঢাকা ফুলগুলিও শুকায় বুকের তলে
ঘরে ফিরি গাগরি মোর ভ'রে নয়ন জলে।
বিদেশে তো যায় অনেকে আবার ফিরে আসে,
কপাল দোষে তুমি শুধু রইলে পরবাসে;
অধীর নদী রোদন বাজে বুকের পিঞ্জরে।।

বাণী

তুমি হেসে চ’লে গেলে বন্ধু তোমার কাঁটার পথে।
কাঁদিতে আমায় রেখে গেলে একলা ফুলের রথে।।
ও পথের বন্ধু! তোমার পথে যদি নিয়ে যেতে
পথের কাঁটা ঢেকে দিতাম আমার এ বুকে পেতে,
আজ সুখের রথে কাঁদি বন্ধু (তোমার) দুখের সাথী হতে।।

নাটক : ‘মধুমালা’

বাণী

		তোমায় আমায় মিল খেয়েছে ও প্রেয়সী রাজ-যোটক।
		আমি যেন গোদা চরণ তুমি তাহে বিষ্ফোটক।।
		আমি কুম্‌ড়ো তুমি দা, আমি কাঁচকলা তুমি আদা,
		তুমি তেজী, (আর) আমি ম্যাদা,
আমি		সাপ, তুমি বেজি যেন, বাপ! তুমি হস্তিনী আমি ঘোটক।।
		তুমি বঁটী আমি চিচিঙ্গে, আমি চিল, পিছে তুমি ফিঙে
		আমি টিঙ্ টিঙে, (আর) তুমি ডিঙ্ ডিঙে
প্রিয়ে		আমি ভেতো বাঙালিটি, তুমি যেন বর্গী-ঠগ্‌।।
		আমি দাড়ি তুমি ক্ষুর, তুমি সাপ আমি ল্যাজুড়,
		তুমি মাফ, আমি কসুর
		আমি ভাঙা ভোঙা কলার ভেলা তুমি খিদিরপুরের ডক্।।
		তুমি বঁড়্ শি আমি মাছ; আমি মোম্ তুমি আগুন-আঁচ,
		তুমি আমার হাতের পাঁচ
		তুমি আ জনমে স্বামী হয়ো আমায় দিও পদোদক।।

বাণী

তোমার বিবাহে আপনার হাতে (প্রিয়)
	আমি দেব হার পরায়ে।
মোর চোখে যদি জল করে টলমল
	আমি দু’হাতে দেব গো সরায়ে।।

নাটিকা : ‘লায়লী-মজনু’

বাণী

তরুণ অশান্ত কে বিরহী।
নিবিড় তমসায় ঘন ঘোর বরষায় —
দ্বারে হানিছ কর রহি রহি।।
ছিন্ন পাখা কাঁদে মেঘ-বলাকা
কাঁদে ঘোর অরণ্য আহত-শাখা
	চোখে আশা-বিদ্যুৎ
	এলে কোন মেঘদূত,
বিধূর বঁধূর মোর বারতা বহি’।।

বাণী

তুম আনন্দ ঘনশ্যাম ম্যয় হুঁ প্রেম-দিওয়ানী রাধা।
বাঁশরি শুনকে তোরি আয়ি মধুবনমে না মানু কলঙ্ককি বাধা।।
যুগ যুগান্ত অনন্তকাল সে হৃদয়-বৃন্দাবনে মে,
তুমহারে হামরে এহি লীলা নাথ চলত রহি মনমে।
	মেরে সঙ্গ রোয়ে প্রেম বিগলিতা
	ভক্তি বিশাখা প্রীতি ললিতা,
তুমকো যো চাহে মেরি তরহেসে রোয়ত জীব সমাধা।।