বাণী

তুমি	এলে কে গো চির-সাথী অবেলাতে
যবে	ঝুরিছে সন্ধ্যামণি আঙিনাতে।
ওগো	কে এলে গো চির-সাথী অবেলাতে।।
	রোদের দাহে এলে স্নিগ্ধ-বাস ফুল-রেণু
	নিঝুম প্রাণে এলে বাজায়ে ব্যাকুল বেণু
ওগো	চাঁদের তিলক এলে আঁধার রাতে।
ওগো	কে এলে গো চির-সাথী অবেলাতে।।
	ফুল ঝরার বেলা এলে মোর শেষ অতিথি
	কাঁদে হা হা স্বরে রিক্ত কানন-বীথি।
	এলে রে মরুভূমে পিয়াসি চকোর মোর
	শুক্লাতিথির শেষে কাঁদিতে এলে চকোর।
(তুমি)	আসিলে জীবন-সাঁঝে ঘুম ভাঙাতে।
ওগো	কে এলে গো চির সাথী অবেলাতে।।

বাণী

তোমাদের দান, তোমাদের বাণী পূর্ণ করিল অন্তর।
তোমাদের রস-ধারায় সিনানি’ হ’ল তনু শুচি-সুন্দর।।
	শান্ত উদার আকাশের ভাষা
	মলিন মর্তে অমৃত পিপাসা,
দিলে আনি’, দিলে অভিনব আশা — গগন-পবন-সঞ্চর।।
	বুলায়ে মায়ার অঞ্জন চোখে
	ল’য়ে গেলে দূর কল্পনা-লোকে,
রাঙাল কানন পলাশে অশোকে — তোমাদের-মায়া-মন্তর।।
	ফিরদৌসের পথ-ভোলা পাখি
	আনন্দ-লোকে গেলে সবে ডাকি’,
ধূলি-ম্লান মন গেলে রঙে মাখি’ — ছানিয়া সুনীল অম্বর।।

বাণী

তুমি	শুনিতে চেয়ো না আমার মনের কথা
	দখিনা বাতাস ইঙ্গিতে বোঝে
			কহে যাহা বনলতা।।
	চুপ ক'রে চাঁদ সুদুর গগনে
	মহা-সাগরের ক্রন্দন শোনে,
	ভ্রমর কাদিঁয়া ভাঙিতে পারে না
			কুসুমের নীরবতা।।
	মনের কথা কি মুখে সব বলা যায়?
	রাতের আঁধারে যত তারা ফোটে
			আঁখি কি দেখিতে পায়?
	পাখায় পাখায় বাঁধা যবে রয়
	বিহগ-মিথুন কথা নাহি কয়,
	মধুকর যবে ফুলে মধু পায়
			রহে না চঞ্চলতা।।

গীতিচিত্রঃ ‌‘অতনুর দেশ’

বাণী

তুমি আশা পুরাও খোদা, সবাই যখন নিরাশ করে।
সবাই যখন পায়ে ঠেলে, সান্ত্বনা পাই তোমায় ধ'রে।।
দ্বারে দ্বারে হাত পাতিয়া ফিরি যখন শূন্য হাতে,
তোমার দানের শির্‌নি তখন আসে আমায় পথ দেখাতে,
দেখি হঠাৎ শূন্য তোমার দানে গেছে ভ'রে।।
খোদা, তোমায় ভরসা করি' নামি যখন কোন কাজে,
সে কাজ হাসিল হয় সহজে শত বিপদ বাধার মাঝে
(খোদা) তোমায় ছেড়ে অন্য জনে শরণ নিলে যায় সে সরে।।
মাঝ দরিয়ায় ডুবলে জাহাজ তোমায় যদি ডাকি
তোমার রহম কোলে করি তীরেতে যায় রাখি
দুখের অনল কুসুম হয়ে ফুটে ওঠে থরে থরে।।

বাণী

তুমি কি দখিনা পবন
দুলে ওঠে দেহলতা
ফুলে ফুলে ফুল্ল হয়ে ওঠে মন।।
	অন্তর সৌরভে শিহরে
	কথার কোয়েলিয়া কুহরে
তনু অনুরঞ্জিত করে গো প্রীতির পলাশ রঙন।।
কী যেন মধু জাগে হিয়াতে
চাহি’ যেন সেই মধু কোন্‌ চাঁদে পিয়াতে।
	ফুটাইয়া ফুল কোথা চলে যাও
	হুতাস নিশাসে কী ব’লে যাও
মধু পান করি না কো র’চে যাই শুধু মধু-বন।।

বাণী

তৌহিদেরি মুর্শিদ আমার মোহাম্মদের নাম।
ঐ নাম জপলেই বুঝতে পারি খোদায়ী কালাম —
			মুর্শিদ মোহাম্মদের নাম।।
ঐ নামেরি রশি ধ’রে যাই আল্লার পথে,
ঐ নামেরি ভেলা ধ’রে ভাসি নূরের স্রোতে,
ঐ নামেরি বাতি জ্বেলে দেখি আরশের মোকাম।
			মুর্শিদ মোহাম্মদের নাম।।
ঐ নামের দামন ধ’রে আছি আমার কিসের ভয়,
ঐ নামের গুনে পাব (আমি) খোদার পরিচয়,
তাঁর কদম মোবারক যে আমার বেহেশ্‌তী তাঞ্জাম।
			মুর্শিদ মোহাম্মদের নাম।।