বাণী

সাহারাতে ফুটল রে রঙিন গুলে লালা
সেই ফুলেরি খোশবুতে আজ দুনিয়া মাতোয়ালা।।
সে ফুল নিয়ে কাড়াকাড়ি চাঁদ -সুরুজ গ্রহ-তারায়
ঝুঁকে প'ড়ে চুমে সে ফুল নীল গগন নিরালা।।
সেই ফুলেরি রঙ লেগে আজ ত্রিভুবন উজালা।।
চাহে সে ফুল জ্বীন ও ইনসান হুরপরী ফেরেশতায়
ফকির দরবেশবাদশা চাহে করিতে গরার মালা (তারে)
চেনে রসিক ভ্রমর,বুলবুল সেই ফুলের ঠিকানা
কেউ বলে হযরত মোহাম্মদ (বলে) কেউ বা কমলিওয়ালা।।

বাণী

সেই রবিয়ল আউয়ালেরই চাঁদ এসেছে ফিরে
		ভেসে আকুল অশ্রুনীরে।
আজ মদিনার গোলাপ বাগে বাতাস বহে ধীরে
		ভেসে আকুল অশ্রুনীরে।।
	তপ্ত বুকে আজ সাহারার
	উঠেছে রে ঘোর হাহাকার
মরুর দেশে এলো আঁধার শোকের বাদল ঘিরে।।
চবুতরায় বিলাপ করে কবুতরগুলি খোঁজে নবীজীরে।
কাঁদিছে মেষশাবক, কাঁদে বনের বুলবুলি গোরস্থান ঘিরে।।
	মা ফাতেমা লুটিয়ে প’ড়ে
	কাঁদে নবীর বুকের পরে
আজ দুনিয়া জাহান কাঁদে কর হানি শিরে।।

বাণী

স্বপ্নে দেখি একটি নতুন ঘর
তুমি আমি দু’জন প্রিয় তুমি আমি দু’জন।
বাহিরে বকুল-বনে কুহু পাপিয়া করে কুজন।।
		আবেশে ঢুলে’ ফুল-শয্যায় শুই
		মুখ টিপে হাসে মল্লিকা যুঁই
কানে কানে গানে গানে কহে ‘চিনেছি উতল সমীরণ’।।
পূর্ণিমা চাঁদ কয়, গান আর সুর, চঞ্চল ওরা দু’জন
প্রেম-জ্যোতি আনন্দ-আঁখিজল, ছল ছল ওরা দু’জন।
মৌমাছি কয়, গুন্‌ গুন্‌ গান গাই
মুখোমুখি দু’জনে সেইখানে যাই
শারদীয়া শেফালি গায়ে পড়ে কয় —
‘ব্রজের মধুবন — এই তো ব্রজের মধুবন’।।

বাণী

সেদিন ব’লেছিলে এই সে ফুলবনে,
আবার হবে দেখা ফাগুনে তব সনে॥
ফাগুন এলো ফিরে লাগে না মন কাজে,
আমার হিয়া ভরি, উদাসী বেণু বাজে;
শুধাই তব কথা দখিনা সমীরণে॥
শপথ ভুলিয়াছ বন্ধু, ভুলিলে পথ কি গো,
বারেক দিয়ে দেখা লুকালে মায়ামৃগ।
আঁচলে ফুল লয়ে হল’ না মালা গাঁথা,
আসার পথ তব ঢাকিল ঝরা পাতা;
পূজার চন্দন শুকালো অঙ্গনে॥

বাণী

সাঁঝের আঁচলে রহিল হে প্রিয় ঢাকা।
ফুলগুলি মোর বেদনার রং মাখা।।
		আসিবে যখন ফিরে
		আবার এ মন্দিরে,
চরণে দলিও আলপনা মোর অশ্রুর জলে আঁকা।।
বিরহ-মলিন বন-তুলসীর শুকানো মালিকাখানি,
ফেলিবার আগে ধন্য করিও একটু পরশ দানি’।
		যেতে এই পথ ’পরে
		যদি মোরে মনে পড়ে,
যমুনার জলে ভাসাইয়া দিও একটি মাধবী শাখা।।

বাণী

স্বরণ-পারের ওগো প্রিয়, তোমায় আমি চিনি যেন
তোমায় চাঁদে চিনি আমি, তুমি আমায় তারায় চেন॥
	নূতন পরিচয়ের লাগি’
	তারায় তারায় থাকি জাগি’
বারে বারে মিলন মাগি, বারে বারে হারাই হেন॥
নূতন চোখের প্রদীপ জ্বালি’ চেয়ে আছি নিরিবিলি,
খোলো প্রিয় তোমার ধরার বাতায়নের ঝিলি-মিলি।
	নিবাও নিবু-নিবু বাতি,
	ডাকে নূতন তারার ভাতি,
ওগো আমার দিবস রাতি কাঁদে বিদায়-কাঁদন কেন॥

নাটিকাঃ ‌‘ঝিলিমিলি’