বাণী

সোনার মেয়ে! সোনার মেয়ে!
তোমার রূপের মায়ায় আমার নয়ন- ভুবন গেল ছেয়ে'।।
	ঝরে তোমার রূপের ধারা—
	চন্দ্র জাগে তন্দ্রাহারা,
আকাশ-ভরা হাজার তারা তোমার মুখে আছে চেয়ে'।।
	কোন গ্রহ-লোক ব্যথায় ভ'রে
	কোন অমরা শূন্য ক'রে
(ওগো) রাখলে চরণ ধরার পরে রঙ-সায়রের রঙের নেয়ে।
	শিল্পী আকেঁ তোমার ছবি
	তোমারি গান গাহে কবি
নিশীথিনী হারিয়ে রবি চাঁদ হাতে পায় তোমায় পেয়ে।।

বাণী

পুরুষ	:	সোনার বরণ কন্যা গো, এসো আমার সোনার নায়ে
		চল আমার বাড়ি
স্ত্রী	:	ওরে অচিন দেশের বন্ধুরে,
		তুমি ভিন্ গেরামের নাইয়া আমি ভিন্ গেরামের নারী।
পুরুষ	:	গয়না দিব বৈচী খাড়ু শাড়ি ময়নামতীর।
স্ত্রী	:	গয়না দিয়ে মন পাওয়া যায় না কুলবতীর।
পুরুষ	:	শাপলা ফুলের মালা দেব রাঙা রেশমি চুড়ি।
স্ত্রী	:	ঐ মন-ভুলানো জিনিস নিয়ে (বন্ধু) মন কি দিতে পারি?
পুরুষ	:	(তুমি) কোন্-সে রতন চাও রে কন্যা, আমি কি তা জানি?
স্ত্রী	:	তোমার মনের রাজ্যে আমি হ’তে চাই রাজরানী।
দ্বৈত	:	হইও সাক্ষী তরুলতা পদ্মা নদীর পানি (আরে ও)
		(আজি) কূল ছাড়িয়া দু’টি প্রাণী অকূলে দিল পাড়ি॥

বাণী

সকাল হ'ল শোন রে আজান
	ওঠ রে শয্যা ছাড়ি'
তুই মসজিদে চল দ্বীনের কাজে
	ভোল দুনিয়াদারি।।
ওজু করে ফেল রে ধুয়ে
	নিশীথ রাতের গ্লানি
সিজদা করে জায়নামাজে
	ফেল রে চোখের পানি;
খোদার নামে সারাদিনের
	কাজ হবে না ভারী।।
নামাজ প'ড়ে দু'হাত তুলে
	প্রার্থনা কর তুই -
ফুল-ফসলে ভ'রে উঠুক
	সকল চাষির ভূঁই
সকল লোকের মুখে হোক
	আল্লার নাম জারী।।
ছেলে-মেয়ে সংসার-ভার
	সঁপে দে আল্লারে
নবীজীর দোয়া ভিক্ষা কর
	কর রে বারে বারে;
তোর হেসে নিশি প্রভাত হবে
	সুখে দিবি পাড়ি।।

বাণী

স্বরণ-পারের ওগো প্রিয়, তোমায় আমি চিনি যেন
তোমায় চাঁদে চিনি আমি, তুমি আমায় তারায় চেন॥
	নূতন পরিচয়ের লাগি’
	তারায় তারায় থাকি জাগি’
বারে বারে মিলন মাগি, বারে বারে হারাই হেন॥
নূতন চোখের প্রদীপ জ্বালি’ চেয়ে আছি নিরিবিলি,
খোলো প্রিয় তোমার ধরার বাতায়নের ঝিলি-মিলি।
	নিবাও নিবু-নিবু বাতি,
	ডাকে নূতন তারার ভাতি,
ওগো আমার দিবস রাতি কাঁদে বিদায়-কাঁদন কেন॥

নাটিকাঃ ‌‘ঝিলিমিলি’

বাণী

সেদিন অভাব ঘুচবে কি মোর যেদিন তুমি আমার হবে
আমার ধ্যানে আমার জ্ঞানে প্রাণ মন মোর ঘিরে রবে।।
	রইবে তুমি প্রিয়তম
	আমার দেহে আত্মা-সম
জানি না সাধ মিটবে কি-না -  তেমন করেও পাব যবে।।
পাওয়ার আমার শেষ হবে না পেয়েও তোমায় বক্ষতলে
সাগর মাঝে মিশে গিয়েও নদী যেমন ব’য়ে চলে।
	চাঁদকে দেখে পরান জুড়ায়
	তবু দেখার সাধ কি ফুরায়
মিটেছেল সাধ কি রাধার নিত্য পেয়েও নীল-মাধবে।।

বাণী

সেদিন ব’লেছিলে এই সে ফুলবনে,
আবার হবে দেখা ফাগুনে তব সনে॥
ফাগুন এলো ফিরে লাগে না মন কাজে,
আমার হিয়া ভরি, উদাসী বেণু বাজে;
শুধাই তব কথা দখিনা সমীরণে॥
শপথ ভুলিয়াছ বন্ধু, ভুলিলে পথ কি গো,
বারেক দিয়ে দেখা লুকালে মায়ামৃগ।
আঁচলে ফুল লয়ে হল’ না মালা গাঁথা,
আসার পথ তব ঢাকিল ঝরা পাতা;
পূজার চন্দন শুকালো অঙ্গনে॥