রহি' রহি' কেন আজো সেই মুখ মনে পড়ে
বাণী
রহি' রহি' কেন আজো সেই মুখ মনে পড়ে। ভুলিতে তা'য় চাহি যত, তত স্মৃতি কেঁদে মরে।। দিয়েছি তাহারে বিদায় ভাসায়ে নয়ন-নীরে, সেই আঁখি-বারি আজো মোর নয়নে ঝরে।। হেনেছি যে অবহেলা পাষাণে বাঁধিয়া হিয়া, তারি ব্যথা পাষাণ সম রহিল বুকে চাপিয়া। সেই বসন্ত ও বরষা আসিবে গো ফিরে ফিরে, আসিবে না আর ফিরে অভিমানী মোর ঘরে।।
রাখ রাখ রাঙা পায় হে শ্যামরায়
বাণী
রাখ রাখ রাঙা পায়, হে শ্যামরায়! ভুলে গৃহ স্বজন সবই সঁপেছি তোমায়॥ সংসার মরু ঘোর, নাহি তরু-ছায়া, নব নীরদ শ্যাম, আনো মেঘ-মায়া; আনন্দ-নীপবনে নন্দ-দুলাল এসো, বাহও উজান, হরি, অশ্রুর যমুনায়॥ একা জীবন মোর গহন ঘন ঘোর, এসো এ বনে বনমালী, গোপ কিশোর, কুঞ্জ রচেছি দুখ-শোক তমাল-ছায় - প্রেম-প্রীতির গোপী চন্দন শুকায়ে যায়॥ দারা সুত প্রিয়জন, হরি হে, নাহি চাই, পদ্মা-পলাশ-আঁখি যদি দেখিতে পাই; রাখাল-রাজা এসো, এসো হে ঋষিকেশ, গোকুলে লহ ডাকি’, অকূলে ভাসি হায়॥
রাখাল রাজ কি সাজে সাজালে
বাণী
রাখাল রাজ! কি সাজে সাজালে আমায় আজ! আমার ঘরের ভূষণ কেড়ে নিয়ে দিলে চির-পথিক সাজ।। তোমার পায়ের নূপুর আমায় দিয়ে ঘোরাও পথে-ঘাটে নিয়ে, বেড়াই বাউল একতারা বাজিয়ে হে, (ও মরি হায় রে) এই ভুবন-নাটে বেড়াই ভুলে শরম-ভরম-লাজ।। তোমার নৃত্য-খেলার নিত্য-সাথি আনন্দেরি গোঠে হে, জীবন-মরণ আমার সহজ চরণ-তলে লোটে হে। আমার হাতে দিলে সর্বনাশী ঘর-ভোলানো তোমার বাঁশি, কাজ ভুলাতে যখন তখন আসি হে’ (ও মরি হায় রে) আমার ভবন কেড়ে — দিলে ছেড়ে বিশ্বভুবন-মাঝ।।