বাণী

রাধা শ্যাম কিশোর প্রিয়তম কৃষ্ণগোপাল বনমালী ব্রজের রাখাল।
কৃষ্ণ গোপাল শ্রীকৃষ্ণগোপাল শ্রীকৃষ্ণগোপাল
কভু শ্যাম রাঘব, কভু শ্যাম মাধব, কভু সে কেশব যাদব ভূপাল॥
যমুনা বিহারী মুরলীধারী, বুন্দাবনে সখা গোপী মনহারী,
কভু মথুরাপতি কভু পার্থসারথি কভু ব্রজে যশোদা আনন্দ দুলাল॥
দোলে গলে তাহার মন বন ফুলহার,
বাজে চরণে নূপুর গ্রহ তারকার কোটি গ্রহ তারকার।
কালিয়-দমন কভু, করাল মুরারি কাননচারী শিখী পাখা ধারী;
শ্যামল সুন্দর গিরিধারীলাল।
কৃষ্ণগোপাল শ্রীকৃষ্ণগোপাল শ্রীকৃষ্ণগোপাল॥

বাণী

রুমু রুমু রুমু ঝুমু ঝুমু বাজে নূপুর
তালে তালে দোদুল দোলে নাচের নেশায় চুর।।
চঞ্চল বায়ে আঁচল উড়ায়ে
চপল পায়ে ও কে যায়
নাটনী কল তটিনীর প্রায়
চিনি বিদেশিনী চিনি গো তায়
শুনি’ ছন্দ তারি এ হিয়া ভরপুর।।
নাচন শিখালে ময়ুর মরালে
মরিচী-মায়া মরুতে ছড়ালে
বন-মৃগের মন হেসে ভুলালে
ডাগর আঁখির নাচে সাগর দুলালে।
গিরিদরি বনে গো দোল লাগে নাচনের শুনে তারি সুর।।

বাণী

রিম্‌ ঝিম্‌ রিম্‌ঝিম্‌ ঝিম্‌ ঘন দেয়া বরষে।
কাজরি নাচিয়া চল, পুর-নারী হরষে।।
কদম তমাল ডালে দোলনা দোলে
কুহু পাপিয়া ময়ূর বোলে,
মনের বনের মুকুল খোলে
নট-শ্যাম সুন্দর মেঘ পরশে।।
হৃদয়-যমুনা আজ কূল জানে না গো,
মনের রাধা আজ বাধা মানে না গো।
ডাকিছে ঘর-ছাড়া ঝড়ের বাঁশি
অশনি আঘাত হানে দুয়ারে আসি’,
গরজাক গুরুজন ভবনবাসী —
আমরা বাহিরে যাব ঘনশ্যাম দরশে।।

নাটকঃ ‌‘অর্জুন বিজয়’

বাণী

রাখাল রাজ! কি সাজে সাজালে আমায় আজ!
আমার ঘরের ভূষণ কেড়ে নিয়ে দিলে চির-পথিক সাজ।।
তোমার পায়ের নূপুর আমায় দিয়ে ঘোরাও পথে-ঘাটে নিয়ে,
বেড়াই বাউল একতারা বাজিয়ে হে, (ও মরি হায় রে)
এই ভুবন-নাটে বেড়াই ভুলে শরম-ভরম-লাজ।।
তোমার নৃত্য-খেলার নিত্য-সাথি আনন্দেরি গোঠে হে,
জীবন-মরণ আমার সহজ চরণ-তলে লোটে হে।
আমার হাতে দিলে সর্বনাশী ঘর-ভোলানো তোমার বাঁশি,
কাজ ভুলাতে যখন তখন আসি হে’ (ও মরি হায় রে)
আমার ভবন কেড়ে — দিলে ছেড়ে বিশ্বভুবন-মাঝ।।

বাণী

		রাঙা জবার বায়না ধ’রে আমার কালো মেয়ে কাঁদে
সে		তারার মালা সরিয়ে ফেলে এলোকেশ নাহি বাঁধে॥
		পলাশ অশোক কৃষ্ণচূড়ায়, রাগ ক’রে সে পায়ে গুঁড়ায়
সে		কাঁদে দু’হাত দিয়ে ঢেকে যুগল আঁখি সূর্য চাঁদে॥
		অনুরাগের রাঙাজবা থাক না মোর মনের বনে
আমার	কালো মেয়ের রাগ ভাঙাতে ফিরি জবার অন্বেষণে।
		মা’র রাঙা চরণ দেখতে পেয়ে, বলি এই যে জবা হাবা মেয়ে
(সে)		জবা ভেবে আপন পায়ে উঠলো নেচে মধুর ছাঁদে॥

বাণী

রুমঝুম্ রুমঝুম্ রুমঝুম্ ঝুম্‌ঝুম্‌
নূপুর বাজে আসিল রে প্রিয় আসিল রে।।
	কদম্ব-কলি শিহরে আবেশে
	বেণীর তৃষ্ণা জাগে এলোকেশে
হৃদি ব্রজধাম রস-তরঙ্গে প্রেম-আনন্দে ভাসিল রে।।
	ধরিল রূপ অরূপ শ্রী হরি
	ধরণী হলো নবীনা কিশোরী
চন্দ্রার কুঞ্জ ছেড়ে যেন কৃষ্ণ চন্দ্রমা-গগনে হাসিল রে।।
	আবার মল্লিকা-মালতী ফোটে
	বিরহ-যমুনা উথলি’ ওঠে
রোদন ভুলে রাধা গাহিয়া ওঠে সুন্দর মোর ভালোবাসিল রে।।