রাখাল রাজ কি সাজে সাজালে
বাণী
রাখাল রাজ! কি সাজে সাজালে আমায় আজ! আমার ঘরের ভূষণ কেড়ে নিয়ে দিলে চির-পথিক সাজ।। তোমার পায়ের নূপুর আমায় দিয়ে ঘোরাও পথে-ঘাটে নিয়ে, বেড়াই বাউল একতারা বাজিয়ে হে, (ও মরি হায় রে) এই ভুবন-নাটে বেড়াই ভুলে শরম-ভরম-লাজ।। তোমার নৃত্য-খেলার নিত্য-সাথি আনন্দেরি গোঠে হে, জীবন-মরণ আমার সহজ চরণ-তলে লোটে হে। আমার হাতে দিলে সর্বনাশী ঘর-ভোলানো তোমার বাঁশি, কাজ ভুলাতে যখন তখন আসি হে’ (ও মরি হায় রে) আমার ভবন কেড়ে — দিলে ছেড়ে বিশ্বভুবন-মাঝ।।
রামছাগী গায় চতুরঙ্গ বেড়ার ধারে
বাণী
রামছাগী গায় চতুরঙ্গ বেড়ার ধারে, গাইয়ে ষাঁড়-সাথে বাছুর হাম্বা রবে — ভীষণ নাদ ছাড়ে, ফেটে বুঝি গেল কান, প্রাণে মারে! শুনিয়া হাই তোলে ভেউ ভেউ রোলে — ভুলোটা পগার পারে।। তেলেনা: ডিম নেরে, তা দেরে, আমি না রে, তুই দেরে, নেরে ডিম, দেরে তা, তা দেনা, ওদের না না, তাদের না না তুই দেরে ডিম! ওদের নারী তাদের নারী দেদার নারী, দে রে নারী, যা ধেৎ, টানাটানি! সরগম: ধ প র ধ র গ, গ র গ ধ, গ র গ ধ, ন ধ ম ম, প র ন ম র গ, স র ন ধ স ম।। তবলার বোল: ভেগে যা, মেগে খা, মেরে কেটে খা, মেরে কেটে খা’ তেড়ে ধরে কাট ধুম, ধরে কেটে রাখুন না রাখুন না, কান দুটি যাক তবু কাটা থাক দুম।।
‘চতুরঙ্গ’
রংমহলের রংমশাল মোরা
বাণী
রংমহলের রংমশাল মোরা আমরা রূপের দীপালি। রূপের কাননে আমরা ফুলদল কুন্দ মল্লিকা শেফালি।। রূপের দেউলে আমি পূজারিণী রূপের হাটে মোর নিতি বিকিকিনি, নৌবতে আমি প্রাতে আশাবরি, আমি সাঁঝে কাঁদি ভূপালী।। আমি শরম-রাঙা চোখের নেশা, লাল শারাব আমি আঙুর-পেষা, আঁখিজলে গাঁথা আমি মোতি-মালা, দীপাধারে মোরা প্রাণ জ্বালি।।