বাণী

মৃত্যু নাই, নাই দুঃখ, আছে শুধু প্রাণ।
আনন্ত আনন্দ হাসি অফুরান।।
	নিরাশার বিবর হ’তে
	আয় রে বাহির পথে,
দেখ্ নিত্য সেথায় — আলোকের অভিযান।।
ভিতর হ’তে দ্বার বন্ধ ক’রে
জীবন থাকিতে কে আছিস্‌ ম’রে।
	ঘুমে যারা অচেতন
	দেখে রাতে কু-স্বপন,
প্রভাতে ভয়ের নিশি হয় অবসান।।

বাণী

মিলন-গোধূলি রাঙা হয়ে এলো ঐ সোনার গগনময়।
দাও আশিস অভয়, হে দেব জ্যোতির্ময়।।
	মিলিল আবার দুইটি প্রাণ
	কত যুগ পরে, হে ভগবান
সার্থক কর, হে মনোহর, এ মিলন অক্ষয়
যেন চির-সুখী হয়, হে দেব জ্যেতির্ময়।।

নাটিকাঃ ‌‘পুতুলের বিয়ে’

বাণী

	মোরা ছিনু একেলা, হইনু দু’জন।
	সুন্দরতর হ’ল নিখিল ভুবন।।
আজি	কপোত-কপোতী শ্রবণে কুহরে,
	বীণা বেণু বাজে বন-মর্মরে।
	নির্ঝর-ধারে সুধা চোখে মুখে ঝরে,
	নূতন জগৎ মোরা করেছি সৃজন।।
	মরিতে চাহি না, পেয়ে জীবন-অমিয়া!
	আসিব এ কুটিরে আবার জনমিয়া।
	আরো চাই আরো চাই অশেষ জীবন।।
আজি	প্রদীপ-বন্দিনী আলোক-কন্যা,
	লক্ষ্মীর শ্রী লয়ে আসিল অরণ্যা,
	মঙ্গল-ঘটে এলো নদীজল-বন্যা,
	পার্বতী পরিয়াছে গৌরী-ভূষণ।।

বাণী

মেরে শ্রীকৃষ্ণ ধরম শ্রীকৃষ্ণ করম শ্রীকৃষ্ণহি তন-মন-প্রাণ।
সব্‌সে নিয়ারে পিয়ারে শ্রীকৃষ্ণজী নয়নুঁকে তারে সমান॥
দুখ সুখ সব শ্রীকৃষ্ণ মাধব কৃষ্ণহি আত্মা জ্ঞান
কৃষ্ণ কণ্ঠহার আঁখকে কাজর কৃষ্ণ হৃদয়মে ধ্যান
শ্রীকৃষ্ণ ভাষা শ্রীকৃষ্ণ আশা মিটায়ে পিয়াস উয়ো নাম (মেরে)
স্বামী-সখা-পিতা-মাতা শ্রীকৃষ্ণজী ভ্রাতা-বন্ধু-সন্তান॥

বাণী

ম্লান আলোকে ফুটলি কেন গোলক-চাঁপার ফুল।
ভূষণহীনা বনদেবী কার হ'রি তুই দুল।।
	হার হ'বি কার কবরীতে
	সন্ধ্যারানী দূর নিভৃতে,
ব'সে আছে অভিমানে ছড়িয়ে এলোচুল।।
মাটির ধরার ফুলদানিতে তোর হবে কি ঠাঁই,
আদর কে আর করবে তোরে, বসন্ত যে নাই হায় বসন্ত নাই।
	গোলক-চাঁপা খুঁজিস কারে —
সে দেবতা নাই রে হেথা শূন্য যে আজি গোকুল।।

বাণী

মম মধুর মিনতি শোন ঘনশ্যাম গিরিধারী
কৃষ্ণমুরারী, আনন্দ ব্রজে তব সাথে মুরারি।।
যেন নিশিদিন মুরলী-ধ্বনি শুনি
উজান বহে প্রেম-যমুনারি বারি
নূপুর হয়ে যেন হে বনচারী
চরণ জড়ায়ে ধরে কাঁদিতে পারি।।