বাণী

মোহাম্মদ নাম যত জপি, তত মধুর লাগে।
নামে এত মধু থাকে, কে জানিত আগে।।
ঐ নামেরি মধু চাহি' মন-ভ্রমরা বেড়ায় গাহি',
আমার ক্ষুধা তৃষ্ণা নাহি ঐ নামের অনুরাগে।।
ও নাম প্রাণের প্রিয়তম, ও নাম জপি মজনু সম,
ঐ নামে পাপিয়া গাহে প্রাণের কুসুম-বাগে।।
ঐ নামে মুসাফির রাহী চাই না তখত শাহানশাহী,
নিত্য ও নাম ইয়া ইলাহী, যেন হৃদে জাগে।।

বাণী

মুছাফির! মোছ্ রে আঁখি-জল
		ফিরে চল আপনারে নিয়া
আপনি ফুটেছিল ফুল
		গিয়াছে আপ্‌নি ঝরিয়া।।
রে পাগল! একি দুরাশা,
জলে তুই বাঁধ্‌বি রে বাসা!
মেটে না হেথায় পিয়াসা
		হেথা নাই তৃষা-দরিয়া।।
বরষায় ফুটল না বকুল
পউষে ফুট্‌বে কি সে ফুল (রে)
এ পথে ঝরে সদা ভুল
		নিরাশার কানন ভরিয়া।।
রে কবি! কতই দেয়ালি
জ্বালিলি তোর আলো জ্বালি’
এলো না তোর বনমালী
		আধাঁর আজ তোরই দুনিয়া।।

বাণী

উভয়		:	মোর মন ছুটে যায় দ্বাপর যুগে দূর দ্বারকায় বৃন্দাবনে।
স্ত্রী+উভয়ে	:	মোর মন হ’তে চায় ব্রজের রাখাল খেলতে রাখাল-রাজার সনে॥
স্ত্রী		:	রূপ ধরে না বিশ্বে যাহার
			দেখতে সাধ যায় কিশোর-রূপ তার
পুরুষ		:	কেমন মানায় নরের রূপে অনন্ত সেই নারায়ণে॥
স্ত্রী		:	সাজ্‌ত কেমন শিখী-পাখা বাজ্‌ত কেমন নূপুর পায়ে,
পুরুষ		:	থির কেমনে থাক্‌ত ধরা নাচ্‌ত যখন তমাল-ছায়ে।
উভয়		:	মা যশোদা বাঁধ্‌ত যখন কাঁদ্‌ত ভগবান কেমনে॥
স্ত্রী		:	সাজ্‌ত কেমন বন-মালায় বিশ্ব যাহার অর্ঘ্য সাজায়;
পুরুষ		:	যোগী-ঋষি পায় না ধ্যানে গোপ-বালা কেমনে পায়।
উভয়		:	তেম্‌নি ক’রে কালার প্রেমে সব খোয়াব এই জীবনে॥

বাণী

উভয়	:	মোরা ছিলাম একা আজি মিলিনু দুজন।
		পাপিয়ার পিয়া বোল্ কপোত-কূজন।।
বর	:	তুমি সবুজের স্রোত এলে ঊষর দেশে
বধূ	:	তুমি বিধাতার-বর এলে বরের বেশে,
বর	:	তুমি গৃহে কল্যাণ
বধূ	:	তুমি প্রভু মম ধ্যান,
উভয়	:	সুন্দরতর হ’ল সুন্দর ত্রিভুবন।।

নাটিকাঃ ‘প্রীতি-উপহার’

বাণী

মম প্রাণ নিয়ে নিঠুর খেল এ কি খেলা (হায়)।
ক্ষণে ভালোবাসা হায় ক্ষণে অবহেলা।।
সকালে গাঁথিয়া মালা পায়ে দল বিকালে তায়।
তেমনি দলিতে চাহ আমার পরান কি হায়।
সহিতে পারি না আর এই হেলাফেলা।
জলরূপী একি কোন্ মরীচিকা তুমি কি গো।
ডেকে এনে মরুভুমে বধিবে এ বনমৃগ।
বুঝিয়াছি কখন হায় ফুরায়েছে বেলা।।

বাণী

মুক্তি আমায় দিলে হে নাথ মোর যে প্রিয় তারে নিয়ে।
আমি কিছু রাখতে নারি দেখ্‌লে বারে বারে দিয়ে॥
	যত্ন আদর পায়নি হেথা
	স’য়ে গেল শত ব্যথা।
তোমার দান সইলো না মোর গেল বুঝি তাই হারিয়ে॥
তোমার প্রিয় এসেছিল অতীত হয়ে আমার দ্বারে,
ফিরে গেল অভিমানে বুঝি আমার অনাদরে।
	যে ছিল নাথ মোর প্রাণাধিক
	সে যে তোমার বুকের মানিক
(প্রভু) এবার সে আর হারাবে না বাঁচ্‌ল তোমার কাছে গিয়ে॥