বাণী

এসো চির-জনমের সাথি।
তোমারে খুঁজেছি দূর আকাশে জ্বালায়ে চাঁদের বাতি।।
	খুঁজেছি প্রভাতে গোধূলি-লগনে
	মেঘ হয়ে আমি খুঁজেছি গগনে,
ঢেকেছে ধরণী আমার কাঁদনে অসীম তিমির রাতি।।
ফুল হয়ে আছে লতায় জড়ায়ে মোর অশ্রুর স্মৃতি,
বেণু বনে বাজে বাদল-নিশীথে আমারি করুণ-গীতি।
	শত জনমের মুকুল ঝরায়ে
	ধরা দিতে এলে আজি মধু-বায়ে,
ব’সে আছি আশা-বকুলের ছায়ে বরণের মালা গাঁথি’।।

বাণী

এসো এসো পাহাড়ি ঝর্ণা মেঘ সজল কাজল বর্ণা
এসো জল ছিটিয়ে ফুল ফুটিয়ে এসো।।
উপল নুড়িতে কাঁকন চুড়িতে
রিনি ঠিনি ছন্দে বন্য আনন্দে এসো
এসো ছলছল ঝলমল আঁচল লুটিয়ে এসো।।
তৃষ্ণায় ডাকে কূলে কূলে হরিণী
আনো কৃষ্ণার জল নির্ঝরিণী।
ফুলবনে ভ্রমর দল জুটিয়ে এসো।।
এসো তপ্ত ধরার বক্ষে, শান্তি ধারা আনো চক্ষে
শীতল হোক খরতর বায়ু, নির্জীব প্রান্তরে আনো পরমায়ু
এসো পাষাণ-কারারঘুম টুটিয়ে এসো।।

নাটকঃ‘মদিনা’

বাণী

এলো এলো শবেরাত তোরা জ্বাল্ রে বাতি।
হোক রওশন মুসলিম-জাহানের অন্ধকার রাতি।।
আজ ফিরদৌসের হুর-পরীরা আলোতে রাঙে
চাঁদ সেতারার প্রদীপ ভাসায় আস্‌মানি গাঙে,
ফেরেশ্‌তা সব হয়েছে আজ মোদের সাথি।।
আজ জ্বাল্‌রে বাতি প্রিয়জনের আঁধার গোরে
আজ বরষ পরে লুকিয়ে তারা এসেছে ঘরে,
রাখ্‌ তাদের তরে অশ্রু-ভেজা হৃদয় পাতি।।

বাণী

এলো কৃষ্ণ কানাইয়া তমাল বনে সাজো ঝুলনের সাজে
তারে গোপবালিকার মালা পরাব আজি এ রাখাল বাজে।।
নব নীপমালাপরি আসিল কিশোর হরি
বাজিল ঘন মেঘে বাঁশরি বৃষ্টিতে নূপুর বাজে।।
সে এসেছে ঐ মেঘ চন্দন মন্থন তনু গোপী বরণ এসেছে
নীল লাবনিতে ছাইয়া অবনি বিদ্যুত হাসি হেসেছে।
ঘনঘটা গগনে দোলা লাগায় মনে মনে।
দোলা লেগেছে, নয়নে মনে দোলা লেগেছে
শয়নে স্বপনে দোলা লেগেছে-বাঁধো বাঁধো ঝুলনা
খোঁপায় পরিয়া দোপাটি মালিকা সাজো সাজো অতুলনা
নির্দয় হৃদয়হীনে বাঁধিব হৃদয় মাঝে।।

বাণী

একলা গানের পায়রা উড়াই।
সে কাছে নাই গো সে কাছে নাই।।
চাঁদ ভালো লাগে না, তার চেনা কার যেন ইহুদী মাক্‌ড়ি,
সে কেন কাছে নাই, অভিমানে ঝ’রে যায় গোলাপের পাপ্‌ড়ি।
ফিরোজা আকাশের জাফ্‌রানি জোছনায়
		মন ভরে না, কি যেন চাই গো কি যেন চাই।।

সঙ্গীতালেখ্য : ‘কাফেলা’

বাণী

এসো হৃদি-রাস-মন্দিরে এসো হে রাসবিহারী কালা।
মম নয়নের পাতে রাখিয়াছি গেঁথে অশ্রু-যূথীর মালা।।
	আমি	ত্যাজিয়াছি কবে লাজ-মান-কুল
		বহি’ কলঙ্ক এসেছি গোকুল,
আমি ভুলিয়াছি ঘর শ্যাম নটবর কর মোরে গোপবালা।।
		আমার কাঁদন-যমুনার নদী
	শ্যাম হে ভাঁটি টানে শুধু বহে নিরবধি,
তারে বাঁশরির তানে বহাও উজানে ভোলাও বিরহ-জ্বালা।।