বাণী

এলো ফুল-দোল ওরে এলো ফুল দোল আনো রঙ-ঝারি।
অশোকমঞ্জরি অলকে পরি এসো গোপ-নারী।।
ঝরিছে আকাশে রঙের ঝরনা
হায় শ্যামা ধরণী হ’ল আবির-বরণা,
ত্যজি’ গৃহ-কাজ এসো চল-চরণা — ডাকে গিরিধারী।।
পরাগ-আবির হানে বনবালা সুরের পিচ্‌কারি হানিছে কুহু,
রঙিন্‌ স্বপন রাতের ঘুমে অনুরাগ-রং ঝরে মনে মুহু মুহু।
রাঙে গিরি-মল্লিকা রঙিন বর্ণে,
রাতের আঁচল ভরে জোছনার স্বর্ণে
কুলের কালি সখি দেবে ধুয়ে রাঙা পিচ্‌কারি।।

বাণী

এই আমাদের বাংলাদেশ এই আমাদের বাংলাদেশ
যে দিকে চাই স্নিগ্ধ শ্যামল চোখ জুড়ানো রূপ অশেষ।।
চন্দনিত শীতল বাতাস বয় এ দেশে নিরন্তর
জোছনা সম কোমল হয়ে আসে হেথায় রবির কর
জীবন হেথায় স্নেহ সরস সরল হৃদয় সহজ বেশ।।
নিত্য হেথা করছে মেঘে স্বর্গ হতে শান্তি জল
মাঠে ঘাটে লক্ষ্মী হেথায় ছড়িয়ে রাখে ফুল কমল।
হাঙ্গোর কুমির শার্দুল সাপ খেলার সাথি এই জাতির
দিল্লির যশ করল হরণ এই দেশেরি প্রতাপ বীর
একদা এই দেশের ছেলে জয় করেছে দেশ বিদেশ।।

রেকর্ড: ‘প্রতাপদিত্য’, (নাটিকার: যোগেশ চৌধুরী)

বাণী

একাকিনী বিরহিণী জাগি আধো রাতে।
বঁধু নাহি পাশে, নিদ নাহি আসে,
কণ্টক ফোটে হায় ফুল-বিছানায়।
আবার ফুটিবে ফুল উঠিবে চাঁদ,
আমারি মনের হায় মিটিল না সাধ,
যামিনীর ফুল যেন এ রূপ-যৌবন
নিশীথে ফুটিয়া লাজে ঝ’রে যায় প্রাতে।।

নাটক : ‘দেবী দুর্গা’

বাণী

এ ঘনঘোর রাতে
ঝুলন দোলায় দুলিবে মম সাথে।।
এসো নব জলধর শ্যামল সুন্দর
জড়ায়ে রাধার অঙ্গ বাঁশরি লয়ে হাতে।।

বাণী

	এই	যুগল মিলন দেখ্‌ব ব’লে ছিলাম আশায় ব’সে।
	আমি	নিত্যানন্দ হলাম, পিয়ে, মধুর ব্রজ-রসে।।
	রাই	বিষ্ণুপ্রিয়া আর কানাই গৌর
	হের	নদীয়ায় যুগল রূপ সুমধুর,
তোরা	দেখে যা দেখে যা মধুর মধুর।
মধুর রাই আর মধুর কানাইরে দেখে যা দেখে যা মধুর মধুর।।

নাটক : ‘বিষ্ণুপ্রিয়া’ (নিত্যানন্দের গান)

বাণী

এসো বসন্তের রাজা হে আমার
এসো এ যৌবন-বাসর-সভাতে।।
ফুলের দরবারে পাখির জলসাতে
বুকের অঞ্চল-সিংহাসনে মম
বসো আমার চাঁদ চাঁদনি রাতে।।
রূপের দীপালি মোর জ্বলবে তোমায় ঘিরে বঁধূ,
পিয়াব তোমায় পিয়া কানে-কানে কথার মধু।
বন-কুসুমের মালা দিব বাহুর মালার সাথে
চরণে হব দাসী বন্ধু হব দুখ রাতে।।