আমি মদিনা মহারাজার মেয়ে
বাণী
আমি মদিনা মহারাজার মেয়ে সকলের জানা আছে। নৌজোয়ান! তুমি কার ছেলে তুমি কেন এলে মোর কাছে।। আমি গান গাইতে জানি তুমি কি গান লিখতে জান? তাহলে তুমি বাড়ি গিয়ে আমার তরে অনেক গান লিখে আন। তাহলে তোমায় মালা গেঁথে দিব — মোর গুল বাগানে অনেক ফুল ফুটেছে ফুলের গাছে।। তুমি মহারাজার, বাদশার ছেলে হও তাহলে আমার ঘরে এসে কথা কও, তব ভালো নাম কি হে কবি তাহলে আঁকব আমি তোমার ছবি, আমি পর্দানশীন কুমারী, মোরে এখনো কেউ নাহি যাচে।।
নাট্যগীতি: ‘মদিনা’
আমার বিফল পূজাঞ্জলি অশ্রু-স্রোতে যায় যে ভেসে
বাণী
আমার বিফল পূজাঞ্জলি অশ্রু-স্রোতে যায় যে ভেসে তোমার আরাধিকার পূজা হে বিরহী, লও হে এসে॥ খোঁজে তোমায় চন্দ্র তপন পূজে তোমায় বিশ্বভুবন, আমার যে নাথ ক্ষণিক জীবন মিটবে কি সাধ ভালবেসে॥ না দেখা মোর, বন্ধু ওগো কোথায়, তুমি কোথায়, বাঁশি বাজাও একা, প্রাণ বোঝে তা অনুভবে নয়ন কেন পায় না দেখা। সিন্ধু যেমন বিপুল টানে তটিনীরে টেনে আনে, তেমনি করে তোমার পানে আমায় ডাকো নিরুদ্দেশে॥
আরে পঙ্খীরাজের বাচ্চা আমার
বাণী
ঘোড়া-পূজার মন্ত্র : ওঁ নমস্তে শ্রী বিলাতী অশ্ব সাহেব হর্স নমোহ নমঃ। চতুষ্পদ একপুচ্ছ শৃঙ্গহীন জীব আদর্শ — সাহেব হর্স নমো নমঃ।। অ্যাই, আরে পঙ্খীরাজের বাচ্চা আমার ঘোড়া ছুইট্যা যাও। ক্যাৎরাইয়া দুই চক্ষুরে ঘোড়া ছ্যাৎরাইয়া চাইর পাও।। স্বর্গপানে ল্যাজ উঠাইয়া, (ছোট) চিঁহি চুঁহু চিঁহি চুঁহু ডাইক্যা আমরা দুজন রাত্র জাগুম ছোলা ভিজাইয়া রাইখ্যা (রে) ফাস্টো যদি না হও ঘোড়া, (তোমার) ঘোড়ানীর মাথা খাও হালা কচ্মচাইয়া খাও।। তোমার ঘোড়ানীর মাথা কচ্মচাইয়া খাও।।
নাটিকা : ‘বিলাতী ঘোড়ার বাচ্চা’
আজি মিলন বাসর প্রিয়া হের মধুমাধবী নিশা
বাণী
পুরুষ : আজি মিলন বাসর প্রিয়া হের মধুমাধবী নিশা। স্ত্রী : কত জনম অভিসারে শেষে প্রিয় পেয়েছি তব দিশা।। পুরুষ : সহকার-তরু হের দোলে মালতী লতায় লয়ে বুকে, স্ত্রী : মাধবী কাঁকন পরি' দেওদার তরু দোলে সুখে। পুরুষ : হায় প্রাণ কানায় কানায় আজি পুরে স্ত্রী : প্রাণ কানায় কানায় আজি পুরে পুরুষ : হিয়া আবেশে পুলক মিশা স্ত্রী : হিয়া আবেশ পুলক মিশা।। পুরুষ : শরাব রঙের শাড়ি পরেছে চাঁদনি রাতি স্ত্রী : চাঁদে ও তারাতে আজি মিলনের মাতামাতি পুরুষ : হের জোয়া উতলা সিন্ধু পূর্ণিমা চাঁদের পেয়ে' স্ত্রী : কোন দূর অতীত স্মৃতি মম প্রাণে-মনে ওঠে ছেয়ে। পুরুষ : আজি মিলন-ঘন মেঘলোকে স্ত্রী : আজি মিলন-ঘন মেঘলোকে পুরুষ : প্রিয়া মিটিবে মরু-তৃষা স্ত্রী : প্রিয় মিটিবে মরু-তৃষা।। দ্বৈত : প্রিয় মিটিবে মরু-তৃষা।।
আমি আল্লার ডাকে ছুটে যাই
বাণী
পুরুষ : আমি আল্লার ডাকে ছুটে যাই যবে তুমি মোনাজাত কর গো নীরবে, স্ত্রী : তুমি যে খোদার দেওয়া সওগাত মম বেহেশ্তের সাথি।। পুরুষ : তুমি হেরেমের বন্দিনী নহ তুমি যে ঘরের বাতি। স্ত্রী : তুমি যে ঈদের চাঁদ! তব তরে জাগিয়া কাটাই রাতি।। পুরুষ : তুমি নারী আগে আনিলে ঈমান দ্বীন ইসলাম ‘পরে, স্ত্রী : তুমি যে বিজয়ী খোদার রহম আনিয়াছ জয় ক’রে! পুরুস : আজি দুর্বল মোরা তোমারে ত্যজিয়া স্ত্রী : দাঁড়াইব পাশে উঠহ জাগিয়া, উভয়ে : হাতে হাত ধরি’ চলি যদি মোরা জাগিবে নূতন জাতি — দুনিয়া আবার উঠিবে মাতি’।।