আমার হৃদয়-বৃন্দাবনে নাচেরে
বাণী
মীরা : আমার হৃদয়-বৃন্দাবনে নাচেরে গিরিধারী বনমালিয়া। সব সংশয়-ভঞ্জন নিতি মম চিত-রঞ্জন নবীন বারিদ গঞ্জন-কালিয়া।। শ্রীকৃষ্ণ : তুমি এমন ক’রে আমায় ধ’রে রাখলে চিরদিন আমি এমনি ক’রে যুগে যুগে শুধছি প্রেমের ঋণ, তাই নেমে ধরায় নয়ন ধারায় ভাসায়েছি নদীয়া।। মীরা : চির উজ্জ্বল হিয়া তলে হে নাথ আসিবে ব’লে রেখেছি প্রেমের শিখা জ্বালিয়া।। শ্রীকৃষ্ণ : আমারে কাঁদালে আপনি কাঁদিয়া মীরা : এসো নাথ এসো নাথ ধোয়াব রাতুল চরণ যুগল নয়ন সলিল ঢালিয়া।।
নাটিকা : ‘মীরাবাঈ’
আহার দেবেন তিনি রে মন
বাণী
আহার দেবেন তিনি রে মন জিভ দিয়াছেন যিনি। তোরে সৃষ্টি ক'রে তোর কাছে যে আছেন তিনি ঋণী।। সারা জীবন চেষ্টা ক'রে,ভিক্ষা-মুষ্টি আনলি ঘরে (ও মন) তাঁর কাছে তুই হাত পেতে দেখ কি দান দেন তিনি।। না চাইতে ক্ষেতের ফসল পায় বৃষ্টির জল তুই যে পেলি পুত্র-কন্যা তোরে কে দিল তা বল। যাঁর করুণায় এত পেলি,তাঁরেই কেবল ভুলে গেলি (তোর) ভাবনার ভার দিয়ে তাঁকে ডাক রে নিশিদিন-ই।।
আমি নিজেরে আড়াল রাখি
বাণী
আমি নিজেরে আড়াল রাখি, বঁধু সারাদিন গৃহ-কাজে। হাসে গুরুজন আশেপাশে তাই চাহিতে পারি না লাজে।। ওগো প্রিয় তুমি অহরহ কেন বাহির ভবনে রহ? তব মৌন এ অভিমান বুকে কাঁটার মতন বাজে।। আমি তোমারি ঘরের বধূ, বঁধু এ-লাজ তোমারি লাগি’, আমি দিনের কুমুদ কলি, ওগো চাঁদ আমি রাতে জাগি। মোর দেহ গৃহ-কাজ করে তব পায়ে থাকে মন প’ড়ে, মোর লাজ-গুণ্ঠন টানি’ লাজ দিও না সভার মাঝে।।
আঁধার ভীত এ চিত যাচে মা গো
বাণী
আঁধার ভীত এ চিত যাচে মা গো১ আলো আলো। বিশ্ববিধাত্রী আলোকদাত্রী নিরাশ পরানে আশার সবিতা জ্বালো জ্বালো, আলো, আলো।। হারায়েছি পথ গভীর তিমিরে লহ হাতে ধ’রে প্রভাতের তীরে পাপ তাপ মুছি’ কর মা গো২ শুচি, আশিস-অমৃত ঢালো।। দশ৩ প্রহরণধারিণী দুর্গতিহারিণী দুর্গে মা অগতির গতি সিদ্ধি-বিধায়িনী দনুজ-দলনী বাহুতে দাও মা শকতি। তন্দ্রা ভুলিয়া যেন মোরা জাগি — এবার প্রবল মৃত্যুর লাগি’, রুদ্র-দাহনে ক্ষুদ্রতা দহ’ বিনাশ গ্লানির কালো।।
১. প্রভু, ২. নাথ, ৩, পান্ডুলিপিতে এখানে দুটি পঙ্ক্তি বেশি আাছে অচেতন প্রাণে জাগরণ তৃষ্ণা আনো আনো জড়তার বুকে জীবন-পিপাসা দানো দানো।