বাণী

আমার	মোহাম্মদের নামের ধেয়ান হৃদয়ে যার রয়
		ওগো হৃদয়ে যার রয়।
	খোদার সাথে হয়েছে তার গোপন পরিচয়।।
ঐ	নামে যে ডুবে আছে
	নাই দুখ-শোক তাহার কাছে
ঐ	নামের প্রেমে দুনিয়াকে সে দেখে প্রেমময়।।
	যে খোশ-নসীব গিয়াছে ঐ নামের স্রোতে ভেসে'
	জেনেছে সে কোরআন-হাদিস-ফেকা এক নিমেষে।
		মোর নবীজীর বর-মালা,
		করেছে যার হৃদয় আলা
	বেহেশতের সে আশ রাখে না, তার নাই দোজখে ভয়।।

বাণী

শ্যালিকা: জামাইবাবু, বলি ও জামাইবাবু ।
জামাইবাবু: কে? ও, আমার বিরহতুত শালী বুঝি?
শ্যালিকা: আহা হা, দিদির বিরহে তোমার চাঁদ মুখ যে অমাবস্যার চাঁদের মত হয়ে উঠেছে । তা, তার বিরহের
একটা গান শোনাও?
জামাইবাবু: হ্যাঁ, তা মন্দ বলিস নি ভাই, তা মন্দ বলিস নি। তোর মারফতে যদি আমার দুষ্কের কথা তার কাছে
গিয়ে পৌঁচয় । শোন্‌ ভাই, শোন্‌।
আমার বিছানা আছে বালিস আছে বৌ নাই মোর খাটে
(ওগো) তার বিরহে বারোটা মাস কেমন ক'রে কাটে ও দাদা গো।।
আ, হাহাহা, বিরহে, বিরহে খাট আমার আধখানা হয়ে গেছে
বৈশাখ মাস, বৈশাখে প্রাণ ভ'য়সা যেন ধুকে রোদের তাতে (বাবু গো)
হাত-পাখা আর নড়ে না ভাই রাতে পিয়ার হাতে
জৈষ্ঠি মাস, জৈষ্ঠি মাসের গরমে হিয়ার গুষ্ঠি শুদ্ধু ফাটে ও দাদা গো।।
আষাঢ় মাস, আষাঢ় মাসে কট্‌কটে ব্যাঙ ছট্‌ফটিয়ে কাঁদে, উহুহুহুহুহু — বাবা রেএএএ
ওগো চুলকানি যে উঠলো বেড়ে প্রেমের মইষা দাদে
শ্রাবণ মাস, শ্রাবণ মাসে রাবুণে প্রেম জাগে জলের ছাটে, ও দাদা গো।।
ভাদ্র মাস, ভাদ্র মাসে আপনার বৌ হলো ভাদ্র বধূ (বাবু গো)
আশ্বিন মাসে চাখলাম না হায় পূজার মজার মধু
আমার পরাণ লাফায় পাঁঠা যেমন দাপায় হাঁড়িকাঠে ও দাদা গো।।
শ্যালিকা: তারপর কি?
জামাইবাবু: তারপর? তারপর আর নেই!
শ্যালিকা: বা-রে! এই তো মাত্র ভাদ্র-আশ্বিন হলো। আর ছ'মাস যে বাকি রইলো।
জামাইবাবু: না-রে ভাই, আর বাকি নেই, আর বাকি নেই, আর বাকি নেই।
শ্যালিকা: বলবে না? বলবে না তো? আহা ভাল লাগলো কিনা, তাই এতো খোসামুদি করছি। না গাইবে তো
যাও, তোমার সঙ্গে আর আমি কখখনো ...
জামাইবাবু : ওরে ওরে ওরে ওরে, শোন্‌ শোন্‌ শোন্‌ শোন্‌, ও ভাবে যাস্‌ নি, যাস্‌ নি। ওরে তুই রাগ করিস নে
রে ভাই, তুই রাগ করিস নে। দ্যাখ, এই বার মাস বিরহে বিরহে আমার কাটছে। ওরে তুই আমার
একমাত্র শান্ত্বনা। তুই যদি রাগ করে চলে যাস তাহলে আমার অবস্থাটা কি হবে একবার বোঝ্‌।
আচ্ছা, গাইছি শোন্‌।
কার্তিক মাস, হ্যাঁ? কার্তিকে মোর ময়ূরী এই কার্তিককে ফেলে (ওরে)
ও তার দাদার ঘরের রাধা হয়ে বেড়ায় পেখম মেলে
শ্যালিকা: যাঃ, ভারি দুষ্টু!
জামাইবাবু: না, না, সত্যি, সত্যি, সত্যি, শোন্‌ না, শোন্‌ না।
অঘ্রাণ, অঘ্রাণে ধান কাটে চাষা আমার কেঁদে কাটে ও দাদা গো।।
পৌষ মাস, পৌষে আমার বৌ সে কোথায় গুড়ের পিঠা খায় (বাবু গো)
আর হেথায় আমার জিহ্বা দিয়া নাল ঝরিয়া যায়
মাঘ মাস, ওরে মাঘ মাসে যার মাগ নাই সে যাক না শ্মশান ঘাটে ও বাবু গো।।
ফাল্গুন মাস, ফাল্গুনে ছাই ডাল-নুনে কি মেটে প্রেমের খিদে
হাতের কাছে কাকে খুঁজি রাতের বেলায় নিদে (আমি)
চৈত্র মাস, চৈত্র মাসে মধু খুঁজি হায়রে কদুর বাটে।।

বাণী

আমি নিজেরে আড়াল রাখি, বঁধু সারাদিন গৃহ-কাজে।
হাসে গুরুজন আশেপাশে তাই চাহিতে পারি না লাজে।।
	ওগো প্রিয় তুমি অহরহ
	কেন বাহির ভবনে রহ?
তব মৌন এ অভিমান বুকে কাঁটার মতন বাজে।।
আমি তোমারি ঘরের বধূ, বঁধু এ-লাজ তোমারি লাগি’,
আমি দিনের কুমুদ কলি, ওগো চাঁদ আমি রাতে জাগি।
	মোর দেহ গৃহ-কাজ করে
	তব পায়ে থাকে মন প’ড়ে,
মোর লাজ-গুণ্ঠন টানি’ লাজ দিও না সভার মাঝে।।

বাণী

আও জীবন মরণ সাথী
তুমকো ঢুঁঢাতা হ্যায় দূর আকাশ মে
			মোহনী চাঁদনী রাতি।।
ঢুঁঢাতা প্রভাত নিত গোধূলি লগন মে
মেঘ হোকে ম্যয় ঢুঁঢাতা গগন মে।
ফিরত হুঁ রোকে শাওন পবন মে।
পাত্তে মে ঢুঁঢাতা তোড়ী পাপী
শ্যামা হোকে জ্বালা ম্যয় তোহারি আঁখমে
বুঝ গ্যয়া রাতকো হায় নিরাশ মে।
আভি ইয়ে জীবন হ্যায় তুমহারি পিয়াস মে।
গুল না হো যায়ে নয়ন কি বাতি।।

বাণী

আমিনা-দুলাল নাচে হালিমার কোলে
তালে তালে সোনার বুকে সোনার তাবিজ দোলে।।
সে কাঁদিলে মুক্তা ঝরে হাসলে ঝরে মানিক
	ঈদের চাঁদে লেগে আছে সেই খুশির খানিক।
তাঁর কচি মুখে খোদার কালাম আধো আধো বলে।।
	দেখেছিল লুকিয়ে সে নাচ কোটি গ্রহতারা
	আসমানে তাই ঘোরে তারা আজো দিশাহারা
সেদিন নেচেছিল বিশ্বভুবন ইয়া মোহাম্মদ ব’লে।।
	কোরানের আয়াতে লেখা সেই নাচেরই ছন্দ
	তকবীরের ধ্বনিতে বাজে তাহারি আনন্দ
আমি থাকলে সেদিন হতাম ধূলি তাঁহার পায়ের তলে।।

বাণী

উভয়ে	:	আজি জ্যোৎস্না বিজড়িত ফাল্গুনী রাতে।
		ল’য়ে মঞ্জুল-মল্লিকা মালিকা হাতে।।
		আজি এসেছি মোরা এসেছি
		দোঁহে মিলেছি বাহুপাশে হিন্দোলাতে।।
শ্যাম	:	আজি বিকশিত উন্মুখ চিত্ত
রাধা	:	দিছি পদতলে ঢালি সব বিত্ত
		দিছি তনুমন যৌবন রিক্ত আজি হে
শ্যাম	:	ঊষর প্রাণের এ চির-পিপাসা কর গো তারে সিক্ত
		আজি মিলন প্রেম-বারি পাতে।।
রাধা	:	থর কম্পিত হিয়া-পরে বাঞ্ছিত এসো গো
শ্যাম	:	মম স্পন্দিত বাহুপাশে নন্দিতা এসো গো
রাধা	:	আন অন্তরে নিবিড় চেতনা
		হর মন্তরে এ চির বেদনা
শ্যাম	:	এসো মালতী বল্লরি বিতানে
		এসো মিলন-পুলকিত প্রাণে
		চির উৎসুক বিরহ অবসানে
		নবপ্রেমে আজি প্রাণ মাতে।।