যত ফুল তত ভুল কণ্টক জাগে
বাণী
যত ফুল তত ভুল কণ্টক জাগে মাটির পৃথিবী তাই এত ভালো লাগে।। হেথা চাঁদে আছে কলঙ্ক, সাধে অবসাদ হেথা প্রেমে আছে গুরুগঞ্জনা অপবাদ; আছে মান-অভিমান পিরিতি-সোহাগে।। হেথা হারাই হারাই ভয়, প্রিয়তমে তাই ব’ক্ষে জড়ায়ে কাঁদি ছাড়িতে না চাই। স্বর্গের প্রেমে নাই বিরহ-অনল সুন্দর আঁখি আছে, নাই আখি-জল; রাধার অশ্রু নাই কুমকুম-ফাগে।।
নাটকঃ অন্নপূর্ণা (নাট্যকারঃ মণিলাল বন্দোপাধ্যায়)
আমায় নহে গো ভালবাস শুধু
বাণী
আমায় নহে গো – ভালবাস শুধু ভালবাস মোর গান। বনের পাখিরে কে চিনে রাখে গান হ’লে অবসান।। চাঁদেরে কে চায় – জোছনা সবাই যাচে, গীত শেষে বীণা প’ড়ে থাকে ধূলি মাঝে; তুমি বুঝিবে না বুঝিবে না — আলো দিতে পোড়ে কত প্রদীপের প্রাণ।। যে কাঁটা-লতার আঁখি-জল, হায়, ফুল হ’য়ে ওঠে ফুটে — ফুল নিয়ে তায় দিয়েছ কি কিছু শূন্য পত্র-পুটে! সবাই তৃষ্ণা মিটায় নদীর জলে, কী তৃষা জাগে সে নদীর হিয়া-তলে — বেদনার মহাসাগরের কাছে কর সন্ধান।।
ও কে চলিছে বন-পথে
বাণী
ও কে চলিছে বন-পথে একা নূপুর পায়ে রন ঝন ঝন। তারি চপল চরণ-আঘাতে দুলিছে নদী-দোলে ফুলবন।। ঝরে ঝর ঝর গিরি -নির্ঝর তার ছন্দ চুরি করে, 'এলো সুন্দর-এলো সুন্দর'’বাজে বনের মর্মরে। গায় পাখি মেলি আঁখি বলে,বন-দেবী এলো নাকি? মধুর রঙ্গে অঙ্গে-ভঙ্গে জাগে শিহরণ।। সন্ধ্যায় ঝিল্লির মঞ্জির হতার ঝির ঝির শির শির তোলে ঝঙ্কার। মধুভাষিণী সুচারু-হাসিনী সে মায়াহরিণী' — ফোটালো আঁধারে মরি মরি দুলিছে অলকে আঁখির পলকে দোলন-চাঁপার নাচের মতন।।
সোনার মেয়ে! সোনার মেয়ে
বাণী
সোনার মেয়ে! সোনার মেয়ে! তোমার রূপের মায়ায় আমার নয়ন- ভুবন গেল ছেয়ে'।। ঝরে তোমার রূপের ধারা— চন্দ্র জাগে তন্দ্রাহারা, আকাশ-ভরা হাজার তারা তোমার মুখে আছে চেয়ে'।। কোন গ্রহ-লোক ব্যথায় ভ'রে কোন অমরা শূন্য ক'রে (ওগো) রাখলে চরণ ধরার পরে রঙ-সায়রের রঙের নেয়ে। শিল্পী আকেঁ তোমার ছবি তোমারি গান গাহে কবি নিশীথিনী হারিয়ে রবি চাঁদ হাতে পায় তোমায় পেয়ে।।