বিদায়-সন্ধা আসিল ঐ ঘনায় নয়নে অন্ধকার
বাণী
বিদায়-সন্ধা আসিল ঐ ঘনায় নয়নে অন্ধকার। হে প্রিয়, আমার, যাত্রা-পথ অশ্রু-পিছল ক’রো না আর॥ এসেছিনু ভেসে স্রোতের, ফুল তুমি কেন প্রিয় করিলে ভুল তুলিয়া খোঁপায় পরিয়া তা’য় ফেলে দিলে হায় স্রোতে আবার॥ হেথা কেহ কারো বোঝে না মন যারে চাই হেলা হানে সে’ জন যারে পাই সে না হয় আপন হেথা নাহি হৃদি ভালোবাসার। তুমি বুঝিবে না কি অভিমান মিলনের মালা করিল ম্লান উড়ে যাই মোর, দূর বিমান সেথা গা’ব গান আশে তোমার॥
ছিটাইয়া ঝাল নুন এলো ফাল্গুন মাস
বাণী
ছিটাইয়া ঝাল নুন এলো ফাল্গুন মাস কাঁচা বুকে ধরে ঘুণ, শ্বাস ওঠে ফোঁস ফাঁস।। শিমুল ফুলের মত ফটাফট্ ফাটে হিয়া প্রেম-তুলো বের হয়ে পড়ে গো ছড়াইয়া, সবে বালিশ ধরিয়া করে ছটপট হাঁসফাঁস।। চিবুতে সজ্’নে খাড়া সজনীরা ভুলে যায়, আনাগোনা করে প্রেম পরানের দরজায়, হৃদয়ের ইঞ্জিনে গ্যাস্ ওঠে ভোঁস ভাঁস।। কচি আম-ঝোল-টক খাইয়া গিন্নি মায় বৌঝির সাথে করে টক্ষাই টক্ষাই। আইবুড়ো আইবুড়ি জল গেলে ছ’ গেলাস।। বিরহিণীদের আঁখি-কলসি হয়েছে ফুটো, গাধাও আজ গাহে গান ফেলিয়া ঘাসের মুঠো, নোনা-পাকা মন বলে, কবে আসে তালশাঁস।।
হে মাধব হে মাধব হে মাধব
বাণী
হে মাধব, হে মাধব, হে মাধব! তোমারেই প্রাণের বেদনা কব তোমারি শরণ লব।। সুখের সাগরে লহরি সমান হিল্লোলি’ উঠে যেন তব নমি গান দুঃখে শোকে কাঁদে যবে প্রাণ যেন নাম না ভুলি তব।। তুমি ছাড়া বিশ্বে কাহারও কাছে এ প্রাণ যেন কিছু নাহি যাচে। যেনতোমারি অধিক কেহ প্রিয় নাহি হয় বিশ্ব ভুবনে যেন হেনি তুমি-ময় কলঙ্ক-লাঞ্ছনা যত বাধা ভয় তব প্রেমে সকলি স’ব।।
আমি রচিয়াছি নব ব্রজধাম হে মুরারি
বাণী
আমি রচিয়াছি নব ব্রজধাম হে মুরারি সেথা করিবে লীলা এসো গোলক-বিহারী।। মোর কামনার কালীদহ করি মন্থন কালীয় নাগে হরি করিও দমন আছে গিরি-গোরবর্ধন মোর অপরাধ যদি সাধ যায় সেই গিরি ধ'রো গিরিধারী।। আছে ষড় রিপু কংসের অনুচর দল আছে অবিদ্যা পুতনা শোক দাবানল আছে শত জনমের সাধ আশা-ধেনুগণ আছে অসহায় রোদনের যমুনা-বারি আছে জটিলতা কুটিলতা প্রেমের বাধা হরি সব আছে, নাই শুধু আনন্দ-রাধা তুমি আসিলে হরি ব্রজে রাসেশ্বরী আসিবেন হ্লাদিনী রূপে রাধা প্যারী।।