বাণী

গহীন রাতে ঘুম কে এলে ভাঙাতে
ফুল-হার পরায়ে গলে দিলে জল নয়ন-পাতে।।
	যে জ্বালা পেনু জীবনে
	ভুলেছি রাতে স্বপনে
কে তুমি এসে গোপনে ছুঁইলে সে বেদনাতে।।
	যবে কেঁদেছি একাকী
	কেন মুছালে না আঁখি
নিশি আর নাহি বাকি, বাসি ফুল ঝরিবে প্রাতে।।

বাণী

যদি	শালের বন হ’ত শালার বোন,
	ক’নে বউ হ’ত ঐ গৃহেরই কোণ,
ছেড়ে	যেতাম না গো শালার বোন,
আমি	থাকতাম পড়ে সদা, খেতাম না গো, শালার বোনথ —
	বনে হারিয়ে যেতাম,
	শালার বোন ঐ বৃন্দাবনে না হয় চারিয়ে যেতাম —
	দাদা গো, ওগো দাদা —
আর	মাকুন্দ হত যদি কুন্দবালা,
হ’ত	দাড়িম্ব সুন্দরী দাড়িওয়ালা,
আমি	ঝুলে যে পড়তাম দাড়ি ধ’রে তার —
	জয়নাথ তরকনাথ বলে আমি ঝুলে যে পড়তাম দাড়ি ধ’রে,
বাবা	দুগ্‌গা ব’লে আমি ঝুলে যে পড়তাম দাড়ি ধ’রে তার —
	দাদা গো, ওগো দাদা —
আহা	বাচ্চা হইত যদি চৌবাচ্চায়
নিতি	পানকৌড়ি হ’য়ে ডুবে থাকিতাম তায়,
যদি	দামড়ার ল্যাজ হ’ত কুন্তল দাম
	বেণী রূপে ল্যাজ ধ’রে মাঠে দাঁড়াতাম — ঘুরে যে বেড়াতাম, তার
	আমি ল্যাজ ধ’রে ঘুরে যে বেড়াতাম, দাদা গো —
যদি	ভাগ্যগুণে এক মিলিল শালী —
বাবা	বিশাল বপু তার সে যে বিশালী,
ওযে	শালী নয় শালী নয়, শাল্মলী তরু সম
	সে যে বিশালী গো, শাল্মলী তরু সম সে যে বিশালী গো —
আহা	চিম্‌টি শালীর হ’ত বাবলা কাঁটা,
হ’ত	শর-বন তার খ্যাংড়া ঝ্যাঁটা
	খ্যাংড়া মেরে বিষ ঝেড়ে যে দিত গো —

বাণী

মধুর ছন্দে নাচে আনন্দে নওল কিশোর মদনমোহন!
চারু ত্রিভঙ্গিম ঠাম বঙ্কিম, বন্দে পদ কোটি চন্দ্র তপন॥
	বৃষ্টিধারা সম নব নবতম,
	সৃষ্টি পড়ে ঝরি সে নাচে নিরূপম
রতন মঞ্জির বাজে রমঝম, ঘোরে গ্রহতারা ঘিরি শ্রীচরণ॥

চলচ্চিত্রঃ ‘ধ্রুব’

বাণী

মুছাফির! মোছ্ রে আঁখি-জল
		ফিরে চল আপনারে নিয়া
আপনি ফুটেছিল ফুল
		গিয়াছে আপ্‌নি ঝরিয়া।।
রে পাগল! একি দুরাশা,
জলে তুই বাঁধ্‌বি রে বাসা!
মেটে না হেথায় পিয়াসা
		হেথা নাই তৃষা-দরিয়া।।
বরষায় ফুটল না বকুল
পউষে ফুট্‌বে কি সে ফুল (রে)
এ পথে ঝরে সদা ভুল
		নিরাশার কানন ভরিয়া।।
রে কবি! কতই দেয়ালি
জ্বালিলি তোর আলো জ্বালি’
এলো না তোর বনমালী
		আধাঁর আজ তোরই দুনিয়া।।

বাণী

রসুল নামের ফুল এনেছি রে (আয়) গাঁথবি মালা কে
এই মালা নিয়ে রাখবি বেঁধে আল্লা তালাকে॥
	অতি অল্প ইহার দাম
	শুধু আল্লা রসুল নাম
এই মালা প’রে দুঃখ শোকের ভুলবি জ্বালাকে॥
এই ফুল ফোটে ভাই দিনে রাতে (ভাইরে ভাই) হাতের কাছে তোর
ও তুই কাঁটা নিয়ে দিন কাটালি রে তাই রাত হ’ল না ভোর।
	এর সুগন্ধ আর রূপ র’য়ে যায়
	নিত্য এসে তোর দরজায় রে
পেয়ে ভাতের থালা ভুললি রে তুই চাঁদের থালাকে॥

বাণী

হে মদিনার নাইয়া!
ভব-নদীর তুফান ভারি কর মোরে পার
তোমার দয়ায় ত’রে গেল লাখো গুনাহ্‌গার॥
পারের কড়ি নাই হে আমার হয়নি নামাজ রোজা
কূলে এসে বসে আছি নিয়ে পাপের বোঝা
(আমায়) ‘পার কর ইয়া রসুল’ বলে কাঁদি জারে জার॥
তোমার নাম গেয়েছি শুধু কেঁদে সুব্‌হ শাম
তরিবার মোর নাই ত’ পুঁজি বিনা তোমার নাম।
হাজরো বার দরিয়াতে ডুবে যদি মরি
ছাড়ব না মোর পারের আশা তোমার চরণ-তরী
সবার শেষে পার যেন হয় এই খিদ্‌মতগার॥