বাণী

আমার	হৃদয় হবে রাঙাজবা দেহ বিল্বদল,
মুক্তি		পাবো ছুঁয়ে মুক্তকেশীর চরণতল॥
মোর		বলির পশু হবে সর্বকাম,
মোর		পূজার মন্ত্র হবে মায়ের নাম,
মোর		অশ্রু দেবো মা’র চরণে সেই তো গঙ্গাজল॥
মোর		আনন্দ মাকে দেবো তাই হবে চন্দন,
মোর		পুষ্পাঞ্জলি হবে আমার প্রাণ মন।
মোর		জীবন হবে আরতি-দীপ,
মোর		গুরু হবেন শঙ্কর-শিব,
মোর		কাঁটার জ্বালা পদ্ম হবে শুভ্র সুনির্মল॥

বাণী

	গানগুলি মোর আহত পাখির সম
	লুটাইয়া পড়ে তব পায়ে প্রিয়তম।।
		বাণ–বেঁধা মোর গানের পাখিরে
		তু’লে নিও প্রিয় তব বুকে ধীরে,
	লভিবে মরণ চরণে তোমার সুন্দর অনুপম।।
তারাসুখের পাখায় উড়িতেছিল গো নভে —
তবনয়ন–শায়কে বিঁধিলে তাহাদের কবে।
		মৃত্যু আহত কন্ঠে তাহার
	‌‌একি এ গানের জাগিল জোয়ার —
	মরণ বিষাদে অমৃতের স্বাদ আনিলে নিষাদ মম।।

বাণী

নিশুতি রাতের শশী গো।
ঘুমায় সকলে নিশীথ নিঝুম
হরিল কে নয়নেরই ঘুম,
কার অভিসারে জাগো গগন-পারে —
চাঁদ ভুলানো সে-কোন্ রূপসী।।
লুকায়ে হেরি আমি অভিসার তব
তারকারা হেরে লুকায়ে নীরব,
কপট ঘুম ভেঙে হের হাসিছে সব —
দূর অলকার বাতায়নে বসি’।।

নাটকঃ ‘সাবিত্রী’

বাণী

ভুবনময়ী ভবনে এসো সীমার মাঝে এসো অসীমা।
ভক্ত মনের মাধুরী দিয়ে গড়িয়াছি মা তোমার প্রতিমা।।
	চিন্ময়ী গো ধর মৃন্ময়ীরূপ
	কত যুগ মাগো জ্বলিবে পূজাধূপ
মানসপটে বোধন ঘটে হও চির আসীনা করুণাময়ী মা।।
সে কোন অতীতে সুদূর ত্রেতায় এসেছিলে মা অশিব নাশিনী
আসিলে না আর ধূলির ধরায় দিলে না মা বর অমৃত ভাষিণী।
	কত যুগ গেল কত বরষ মাস
	কত বিফল পূজা কত কাঁদন হুতাশ
জাগ যোগমায়া যোগনিদ্রা ভোল পুন বিশ্বে প্রচার হোক্‌ তব মহিমা।।

বাণী

প্রভু সংসারেরি সোনার শিকল বেঁধো না আর পায়
তোমার প্রেম ডোরে ত্রিভুবন স্বামী বাঁধ হে আমায়॥
সারা জীবন বোঝা বয়ে, এসেছি আজ ক্লান্ত হয়ে
জুড়াতে হে শান্তি দাতা তোমার শীতল ছায়॥
হে নাথ যতদিন শক্তি ছিল বোঝা বহিবার
হাসি মুখে বয়েছি নাথ তোমার দেওয়া ভার।
শেষ হল আজ ভবের খেলা, কি দান দেব যাবার বেলা
তোমার নামের ভেলায় যেন এ দীন তরে যায়॥

বাণী

আমার	কোন্‌ কূলে আজ ভিড়লো তরী
			এ কোন সোনার গাঁয়
আমার	ভাটির তরী আবার কেন
			উজান যেতে চায়
		তরী	উজান যেতে চায়
	কোন কূলে মোর ভিড়লো তরী
	এ কোন্‌ সোনার গাঁয়।।
আমার	দুঃখেরে কান্ডারী করি’
আমি	ভাসিয়েছিলাম ভাঙা তরী
তুমি	ডাক দিলে কে স্বপন–পরী
			নয়ন ইশারায়।।১
	নিভিয়ে দিয়ে ঘরের বাতি
	ডেকেছিলে ঝড়ের রাতি
তুমি	কে এলে মোর সুরের সাথী গানের কিনারায়।
তুমি 	কে এলে? ওগো কে এলে মোর সুরের সাথী
			গানের কিনারায়?
	সোনার দেশের সোনার মেয়ে,
ওগো তুমি	হবে কি মোর তরীর নেয়ে,
	ভাঙ্গা তরী চলো বেয়ে রাঙা অলকায়।।

১. ‘অন্তরা’ অংশ গ্রামোফোন রেকর্ডে গাওয়া হয়নি।