তুমি আশা পুরাও খোদা
বাণী
তুমি আশা পুরাও খোদা, সবাই যখন নিরাশ করে। সবাই যখন পায়ে ঠেলে, সান্ত্বনা পাই তোমায় ধ'রে।। দ্বারে দ্বারে হাত পাতিয়া ফিরি যখন শূন্য হাতে, তোমার দানের শির্নি তখন আসে আমায় পথ দেখাতে, দেখি হঠাৎ শূন্য তোমার দানে গেছে ভ'রে।। খোদা, তোমায় ভরসা করি' নামি যখন কোন কাজে, সে কাজ হাসিল হয় সহজে শত বিপদ বাধার মাঝে (খোদা) তোমায় ছেড়ে অন্য জনে শরণ নিলে যায় সে সরে।। মাঝ দরিয়ায় ডুবলে জাহাজ তোমায় যদি ডাকি তোমার রহম কোলে করি তীরেতে যায় রাখি দুখের অনল কুসুম হয়ে ফুটে ওঠে থরে থরে।।
তুমি আমার সকাল বেলার সুর
বাণী
তুমি আমার সকাল বেলার সুর হৃদয় অলস–উদাস–করা অশ্রু ভারাতুর।। ভোরের তারার মত তোমার সজল চাওয়ায়, ভালোবাসার চেয়ে সে যে কান্না পাওয়ায় রাত্রি–শেষের চাঁদ তুমি গো বিদায়–বিধুর।। তুমি আমার ভোরের ঝরা ফুল শিশির–নাওয়া শুভ্র–শুচি পূজারিণীর তুল। অরুণ তুমি, তরুণ তুমি, করুণ তারো চেয়ে হাসির দেশে তুমি যেন বিষাদ–লোকের মেয়ে তুমিইন্দ্র–সভার মৌন–বীণা নীরব নূপুর।।
তুই কে ছিলি তাই বল
বাণী
তুই কে ছিলি তাই বল? কোন কাননের পুষ্পরানী কোন সরসীর জল।। তুই কি ছিলি কবিতা আর আমি চরণ তা'রি তুই কি ছিলি পিয়াসি শুক আমি আতুর সারী তুই কি দুঃখী দুয়োরানী আমি চোখের জল।। কোন বরষার সিক্ত প্রাতে কোন শরতের জোছনা রাতে কোন জগতের অরুণ ঊষার প্রথম দেখা বল।। নতুন মোদের নতুন ক'রে পরিচয়ের পালা কন্ঠে মোদের মিলন-বাণী হাতে মিলন-মালা মোরা এক বিরহীর দু'টি চোখের ঝরা দু'টি মুক্তাফল।।
তুমি দুখের বেশে এলে বলে
বাণী
তুমি দুখের বেশে এলে বলে ভয় করি কি হরি। দাও ব্যথা যতই তোমায় ততই নিবিড় করে ধরি। আমি ভয় করি কি হরি।। আমি শূন্য করে তোমার ঝুলি দুঃখ নেব বক্ষে তুলি, আমি করব দুঃখের অবসান আজ সকল দুঃখ বরি।। কত সে মন কত কিছুই হজম করে ফেলি নিতুই, এক মনই তো দুঃখ দেবে তারে নাহি ডরি।। তুমি তুলে দিয়ে সুখের দেয়াল, ছিলে আমার প্রাণের আড়াল, আজ আড়াল ভেঙে দাঁড়ালে মোর সকল শূন্য হরি।।