বাণী

জয় উমানাথ শিব মহেশ্বর
চির-ভোরা আশুতোষ স্বয়ম্ভু শঙ্কর।।
তুমি ভগবান জীব-কল্যাণ লাগি
শ্মশানে রহ শিবলোক তেয়াগি,
বিশ্বেশ্বর হয়ে তুমি বৈরাগী হে মহাভিক্ষু দিগম্বর।।
স্বর্গের দেবতারে অমৃত দিয়া
তুমি নাচো আনন্দে গরল পিয়া,
ধুতুরার ফুল শিঙ্গা ডমরু নিয়া —
ভষ্ম মাখিয়া রহ গঙ্গাধর।।

বাণী

জয়-জগৎ-জননী, ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর বন্দিতা,
		জয় মা-ত্রিলোক তারিণী।
জয় আদ্যাশক্তি পরমেশ্বরী নন্দন-লোক-নন্দিতা
			জয় দুর্গতিহারিণী।।
তোমাতে সর্বজীবের বসতি, সর্বাশ্রয় তুমি মা,
জয় হয় সব বন্ধন পাপ-তাপ তব পদ চুমি’ মা।
তুমি শাশ্বতী, সৃষ্টি-স্থিতি, তুমি মা প্রলয়কারিণী।।
তুমি মা শ্রদ্ধা, প্রেম, ভক্তি তুমি কল্যাণ সিদ্ধি
ধর্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষ তুমি তিন-জন ঋদ্ধি,
জয় বরাভয়া ত্রিগুণময়ী দশ-প্রহরণ-ধারিণী।।

নাটক : ‘বিদ্যাপতি’ (স্তব)

বাণী

জানি জানি তুমি আসিবে ফিরে।
আবার উঠিবে চাঁদ নিরাশার তিমিরে।।
	নিঝুম কাননে থাকি
	ডাকিবে গানের পাথি,
দখিন-সমীরণ আবার বহিবে ধীরে।।
আবার গাঙের জলে আসিবে জোয়ার
জ্বলিবে আশায় দীপ, রবে না আঁধার।
	তোমার পরশ লেগে
	ঘুম মোর যাবে ভেঙে,
একদা প্রভাতে প্রিয় আকুল নয়ন-নীরে।।

বাণী

জানি পাব না তোমায় হে প্রিয় আমার
			এ জীবনে আর॥
		এ আমার ললাট লেখা
		আমি রব চির একা
নিমেষের দিয়ে দেখা কাঁদাবে আবার॥
		তুব হে জীবন স্বামী
		তোমারি আশায় আমি
আসিব এ ধরণীতে যুগে যুগে অনিবার॥

বাণী

জাগো জাগো শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্ম-ধারী।
কাঁদে ধরিত্রী নিপীড়িতা, কাঁদে ভয়ার্ত নরনারী।।
	আনো আরবার ন্যায়ের দণ্ড
	দৈত্য-ত্রাসন ভীম প্রচণ্ড,
অসুর-বিনাশী উদ্যত আসি ধর ধর দানবারি।।
	ঐ বাজে তব আরতি বোধন,
	কোটি অসহায় কণ্ঠে রোদন!
	ব্যথিত হৃদয়ে ফেলিয়া চরণ
	বেদনা-বিহারী এসো নারায়ণ,
রুদ্ধ কারার অন্ধ প্রাকার-বন্ধন অপসারি’।।

বাণী

জয় বিগলিত করূণা রূপিণী গঙ্গে
জয় কলুষহারিণী পতিতপাবনী
নিত্যা পবিত্রা যোগী-ঋষি সঙ্গে॥
হরি শ্রীচরণ ছুঁয়ে আপন-হারা,
পরম প্রেমে হ’লে দ্রবীভূত ধারা;
ত্রিলোকের ত্রিতাপ পাপ তুমি নিলে মা,
নির্মলে, তোমার পবিত্র অঙ্গে॥