জাগো জাগো রে মুসাফির
বাণী
জাগো জাগো, রে মুসাফির হ’য়ে আসে নিশিভোর। ডাকে সুদূর পথের বাঁশি ছাড় মুসাফির-খানা তোর।। অস্ত-আকাশ-অলিন্দে ঐ পান্ডুর কপোল রাখি’ কাঁদে মলিন ভোরের শশী, বিদায় দাও বন্ধু চকোর।। মরুচারী খুঁজিস সলিল অগ্নিগিরির কাছে, হায়! খুঁজিস অমর ভালোবাসা এই ধরণীর এই ধূলায়। দারুণ রোদের দাহে খুঁজিস কুঞ্জ-ছায়া স্বপ্ন-ঘোর।।
জহরত পান্না হীরার বৃষ্টি
বাণী
পুরুষ : জহরত পান্না হীরার বৃষ্টি তব হাসি-কান্না চোখের দৃষ্টি তারও চেয়ে মিষ্টি মিষ্টি মিষ্টি॥ স্ত্রী : কান্না-মেশানো পান্না নেবো না, বঁধু। এই পথেরই ধূলায় আমার মনের মধু করে হীরা মানিক সৃষ্টি মিষ্টি আরো মিষ্টি॥ পুরুষ : সোনার ফুলদানি কাঁদে লয়ে শূন্য হিয়া এসো মধু-মঞ্জরি মোর! এসো প্রিয়া, প্রিয়া! স্ত্রী : কেন ডাকে বউ কথা কও, বউ কথা কও, আমি পথের ভিখারিনী গো, নহি ঘরের বউ। কেন রাজার দুলাল মাগে মাটির মউ। বুকে আনে ঝড়, চোখে বৃষ্টি তার সকরুণ দৃষ্টি তবু মিষ্টি॥
সিনেমাঃ চৌরঙ্গী
জগৎ জুড়ে জাল ফেলেছিস্ মা
বাণী
জগৎ জুড়ে জাল ফেলেছিস্ মা, শ্যামা কি তুই জেলের মেয়ে। (তোর) মায়ার জালে মহামায়া, বিশ্বভুবন আছে ছেয়ে॥ প’ড়ে মা তোর মায়ার ফাঁদে কোটি নরনারী কাঁদে; তোর মায়াজাল ততই বাঁধে পালাতে চায় যত ধেয়ে॥ চতুর যে-মীন সে জানে মা জাল থেকে যে মুক্তি আছে; (তাই) জেলে যখন জাল ফেলে মা সে লুকায় জেলের পায়ের কাছে। জাল এড়িয়ে তাই সে বাঁচে। তাই মা আমি নিলাম শরণ তোর ও দুটি রাঙা চরণ, এড়িয়ে গেলাম মায়ার বাঁধন মা তোর অভয়-চরণ পেয়ে॥
জয় হরপ্রিয়া শিবরঞ্জনী
বাণী
জয় হরপ্রিয়া শিবরঞ্জনী। শিব-জটা হতে সুরধুনী স্রোতে ঝরি’ শতধারে ভাসাও অবনি। দিবা দ্বিপ্রহরে প্রথম বেলা কাফি-সিন্ধুর তীরে কর খেলা দীপ্ত নিদাঘে সারঙ্গ রাগে অগ্নি ছড়ায় তব জটাব ফণী॥ কভু ধানশ্রীতে মায়া রূপ ধর, জ্ঞানী শিবের তেজ কোমল কর পিলু বারোঁয়ার বিষাদ ভোলানো নূপুরের চটুল ছন্দ আনো বাগীশ্বরী হ’য়ে মহিমা শান্তি ল’য়ে আসো গভীর যবে হয় রজনী॥ বরষার মল্লারে মেঘে তুমি আসো, অশনিতে চমকাও, বিদ্যুতে হাসো সপ্ত সুরের রঙে সুরঞ্জিতা ইন্দ্রধনু-বরণী॥