অমন করে হাসিস্নে আর রাই লো
বাণী
অমন করে হাসিস্নে আর রাই লো। তুই পোড়ার মুখে হাসিস্নে আর রাই লো।। ছি ছি রঙ্গ করিস অঙ্গে মেখে কৃষ্ণ কালির ছাই লো।। বাঁশি হাতে গাছে চড়া, কয়লা-বরণ গয়লা ছোঁড়া সে লো সেই নাটের গুরু নষ্টের গোড়া তোর প্রেমের গোঁসাই লো।। ঐ গো-রাখা রাখালের সনে তোর নিন্দা শুনি বৃন্দাবনে রাই লো ছি ছি কেষ্ট ছাড়া ইষ্ট কি আর ত্রিভুবনে নাই লো।। ঐ অমাবস্যার কৃষ্ণ-চাঁদে, বাস্লি ভালো কোন্ সুবাদে তুই লো তুই দিন-কানা হয়েছিস রাধে ভাবিয়া কানাই লো।।
অয়ি চঞ্চল-লীলায়িত-দেহা চির-চেনা
বাণী
অয়ি চঞ্চল-লীলায়িত-দেহা চির-চেনা ফোটাও মনের বনে তুমি বকুল হেনা।। যৌবন-মদ গর্বিতা তন্বী আননে জ্যোৎস্না, নয়নে বহ্নি, তব চরণের পরশ বিনা অশোক তরু মুঞ্জরে না।। নন্দন-নন্দিনী তুমি দয়িতা চির-আনন্দিতা, প্রথম কবির প্রথম লেখা তুমি কবিতা। নৃত্য শেষের তব নুপুরগুলি হায় রয়েছে ছড়ানো আকাশের তারকায় সুর-লোক-উর্বশী হে বসন্ত-সেনা ! চির-চেনা।।
অঞ্জলি লহ মোর সঙ্গীতে
বাণী
অঞ্জলি লহ মোর সঙ্গীতে। প্রদীপ-শিখা সম কাঁপিছে প্রাণ মম তোমায়, হে সুন্দর, বন্দিতে! সঙ্গীতে সঙ্গীতে।। তোমার দেবালয়ে কি সুখে কি জানি দু’লে দু’লে ওঠে আমার দেহখানি আরতি –নৃত্যের ভঙ্গীতে। সঙ্গীতে সঙ্গীতে।। পুলকে বিকশিল প্রেমের শতদল গন্ধে রূপে রসে টলিছে টলমল। তোমার মুখে চাহি আমার বাণী যত লুটাইয়া পড়ে ঝরা ফুলের মত তোমার পদতল রঞ্জিতে। সঙ্গীতে সঙ্গীতে।।