বাণী

অমন করে হাসিস্‌নে আর রাই লো।
তুই পোড়ার মুখে হাসিস্‌নে আর রাই লো।।
ছি ছি রঙ্গ করিস অঙ্গে মেখে কৃষ্ণ কালির ছাই লো।।
বাঁশি হাতে গাছে চড়া, কয়লা-বরণ গয়লা ছোঁড়া সে লো
সেই নাটের গুরু নষ্টের গোড়া তোর প্রেমের গোঁসাই লো।।
ঐ গো-রাখা রাখালের সনে তোর নিন্দা শুনি বৃন্দাবনে রাই লো
ছি ছি কেষ্ট ছাড়া ইষ্ট কি আর ত্রিভুবনে নাই লো।।
ঐ অমাবস্যার কৃষ্ণ-চাঁদে, বাস্‌লি ভালো কোন্ সুবাদে তুই লো
তুই দিন-কানা হয়েছিস রাধে ভাবিয়া কানাই লো।।

বাণী

অধীর অম্বরে গুরু গরজন মৃদঙ বাজে।
রুমু রুমু ঝুম্ মঞ্জীর-মালা চরণে আজ উতলা যে॥
এলোচুলে দু’লে দু’লে বন-পথে চল আলি,
মরা গাঙে বালুচরে কাঁদে যথা বন্-মরালী।
		উগারি’ গাগরি ঝারি
		দে লো দে করুণা ডারি
ঘুঙট উতারি’ বারি ছিটা লো গুমোট সাঁঝে॥
তালীবন হানে তালি, ময়ুরী ইশারা হানে,
আসন পেতেছে ধরা মাঠে মাঠে চারা-ধানে।
মুকুলে ঝরিয়া পড়ি’ আকুতি জানায় যূথী
ডাকিছে বিরস শাখে তাপিতা চন্দনা-তুতি।
		কাজল-আঁখি রসিলি
		চাহে খুলি ঝিলিমিলি,
চল, লো চল সেহেলি, নিয়ে মেঘ-নটরাজে॥

নাটকঃ ‘সেতুবন্ধ’

বাণী

অন্নপূর্ণা মা এসেছে অন্নহীনের ঘর
উলু দে রে শঙ্খ বাজা প্রদীপ তুলে ধর।।
		তপস্যাহীন পাপীর দেশে
		মা এসেছে ভালোবেসে,
বিনা পূজায় মায়ের রূপে এলো বিধির বর।।

নাটিকাঃ ‘সুরথ উদ্ধার’

বাণী

অঞ্জলি লহ মোর সঙ্গীতে।
প্রদীপ-শিখা সম কাঁপিছে প্রাণ মম
তোমায়, হে সুন্দর, বন্দিতে!
সঙ্গীতে সঙ্গীতে।।
তোমার দেবালয়ে কি সুখে কি জানি
দু’লে দু’লে ওঠে আমার দেহখানি
আরতি –নৃত্যের ভঙ্গীতে।
সঙ্গীতে সঙ্গীতে।।
পুলকে বিকশিল প্রেমের শতদল
গন্ধে রূপে রসে টলিছে টলমল।
তোমার মুখে চাহি আমার বাণী যত
লুটাইয়া পড়ে ঝরা ফুলের মত
তোমার পদতল রঞ্জিতে।
সঙ্গীতে সঙ্গীতে।।

বাণী

অয়ি চঞ্চল-লীলায়িত-দেহা চির-চেনা
ফোটাও মনের বনে তুমি বকুল হেনা।।
	যৌবন-মদ গর্বিতা তন্বী
	আননে জ্যোৎস্না, নয়নে বহ্নি,
তব চরণের পরশ বিনা অশোক তরু মুঞ্জরে না।।
নন্দন-নন্দিনী তুমি দয়িতা চির-আনন্দিতা,
প্রথম কবির প্রথম লেখা তুমি কবিতা।
নৃত্য শেষের তব নুপুরগুলি হায়
রয়েছে ছড়ানো আকাশের তারকায়
সুর-লোক-উর্বশী হে বসন্ত-সেনা ! চির-চেনা।।

বাণী

অন্ধকারে দেখাও আলো কৃষ্ণ নয়ন-তারা।
কালো মেঘে অন্ধ-আকাশ পথিক পথ-হারা।।
	ভক্ত কাঁদে অকূল ভবে,
	গোকূলে তায় ডাকবে কবে।
অশান্ত এ চিত্তে হরি বহাও শান্তি-ধারা।।