বাণী

আজও মা তোর পাইনি প্রসাদ আজও মুক্ত নহি।
আজও অন্যে আঘাত দিলে কঠোর ভাষা কহি।।১
	মোর আচরণ, আমার কথা
	আজও অন্যে দেয় মা ব্যথা
আজও আমার দাহন দিয়ে শত জনে দহি।।
শত্রুমিত্র মন্দভালোর যায়নি আজও ভেদ
কেহ ব্যথা দিলে, প্রাণে আজও জাগে খেদ।
	আজও মাগো দুঃখে শোকে
	অশ্রু ঝরে আমার চোখে,
আমার আমার ভাব ওগো মা আজও জাগে রহি’ রহি’।।

১. আজও অন্যে কষ্ট দিলে / কষ্ট ভাষা কহি।।

বাণী

আল্লা নামের বীজ বুনেছি এবার মনের মাঠে।
ফলবে ফসল বেচব তারে কেয়ামতের হাটে।।
	পত্তনীদার যে এ জমির
	খাজনা দিয়ে সেই নবীজীর
বেহেশতেরই তালুক কিনে বসব সোনার খাটে।।
মসজিদে মোর মরাই বাঁধা হবে নাকো চুরি,
মনকির নকির দুই ফেরেশতা হিসাব রাখে জুড়ি' রে;
	রাখবো হেফাজতের তরে
	ঈমানকে মোর সাথী করে,
রদ হবে না কিস্তি (মোর), জমি উঠবে না আর লাটে।।

বাণী

আমার মনের বেদনা
বুঝিলে না, আমার মনের বেদনা ॥
চাহিনি মালার ফুল
বুঝিলে না আপনার ভূল
মালা দিলে মন দিলে না ॥

বাণী

আন্ গোলাপ-পানি, আন্ আতরদানি গুলবাগে।
সহেলি গো কিছু নাহি ভালো লাগে
বেদুঈন ছেলের বাঁশি কারে ডাকে
			কেঁদে’ কেঁদে’ অনুরাগে।।
	মরুযাত্রীদের উটের সারি
	যেমন চাহে তৃষার বারি
তেমনি মম পিয়াসি পরান যেন কার —
			প্রেম-অমৃত বারি মাগে।।
চাঁদের পিয়ালাতে জোছনা-শিরাজি ঝ’রে যায়
আমারি হৃদয় কেন গো সে-মধু নাহি পায়,
হায়, হায়, বাদাম গাছের আঁধার বনে
নিঃশ্বাস ওঠে যেন বুল্‌বুলির শিসের সনে,
বিরহী মোর কোথায় কাঁদে কোন্ মদিনাতে —
ফোরাত নদীর রোদন১ সম বুকে ঢেউ জাগে।।

১. স্রোতের

সঙ্গীতালেখ্য : ‌‘কাফেলা’ (মরুদেশের সঙ্গীত)

বাণী

আমরা বনের পাখি বনের দেশে থাকি।
ফিরি পাহাড়ি ফুলের রাঙা পরাগ মাখি’।।
মোরা ঝর্না-ধারে ঐ নীল পাহাড়ে
দেবদারুর শাখায় বাঁধি লতার রাখি।
শুনি বন-উদাসী মিঠে পাহাড়ি বাঁশি
মোরা শিস্ দিয়ে রাখাল ছেলেরে ডাকি।।

নাটক : ‘মধুমালা’

বাণী

আঁধার রাতে			কে গো একেলা
নয়ন-সলিলে		ভাসালে ভেলা।।
কাঁদিয়া কারে 		খোঁজ ওপারে
আজো যে তোমার		প্রভাত বেলা।।
কি দুখে আজি		যোগিনী সাজি’
আপনারে ল’য়ে		এ হেলা-ফেলা।।
সোনার কাঁকন		ও দুটি করে
হের গো জড়ায়ে		মিনতি করে।
খুলিয়া ধূলায়		ফেলো না গো তায়,
সাধিছে নূপুর		চরণ ধ’রে।
হের গো তীরে		কাঁদিয়া ফিরে
আজি ও-রূপের		রঙের মেলা।।