আঁধার ভীত এ চিত যাচে মা গো
বাণী
আঁধার ভীত এ চিত যাচে মা গো১ আলো আলো। বিশ্ববিধাত্রী আলোকদাত্রী নিরাশ পরানে আশার সবিতা জ্বালো জ্বালো, আলো, আলো।। হারায়েছি পথ গভীর তিমিরে লহ হাতে ধ’রে প্রভাতের তীরে পাপ তাপ মুছি’ কর মা গো২ শুচি, আশিস-অমৃত ঢালো।। দশ৩ প্রহরণধারিণী দুর্গতিহারিণী দুর্গে মা অগতির গতি সিদ্ধি-বিধায়িনী দনুজ-দলনী বাহুতে দাও মা শকতি। তন্দ্রা ভুলিয়া যেন মোরা জাগি — এবার প্রবল মৃত্যুর লাগি’, রুদ্র-দাহনে ক্ষুদ্রতা দহ’ বিনাশ গ্লানির কালো।।
১. প্রভু, ২. নাথ, ৩, পান্ডুলিপিতে এখানে দুটি পঙ্ক্তি বেশি আাছে অচেতন প্রাণে জাগরণ তৃষ্ণা আনো আনো জড়তার বুকে জীবন-পিপাসা দানো দানো।
আঁধার রাতে কে গো একেলা
বাণী
আঁধার রাতে কে গো একেলা নয়ন-সলিলে ভাসালে ভেলা।। কাঁদিয়া কারে খোঁজ ওপারে আজো যে তোমার প্রভাত বেলা।। কি দুখে আজি যোগিনী সাজি’ আপনারে ল’য়ে এ হেলা-ফেলা।। সোনার কাঁকন ও দুটি করে হের গো জড়ায়ে মিনতি করে। খুলিয়া ধূলায় ফেলো না গো তায়, সাধিছে নূপুর চরণ ধ’রে। হের গো তীরে কাঁদিয়া ফিরে আজি ও-রূপের রঙের মেলা।।
আমার মালায় লাগুক তোমার
বাণী
আমার মালায় লাগুক তোমার মধুর হাতের ছোঁওয়া ঘিরুক তোমায় মোর আরতি পূজা-ধূপের ধোঁওয়া।। পূজায় ব'সে দেব-দেউলে তোমায় দেখি মনের ভুলে প্রিয় তুমি নিলে আমার পূজা হবে তারই লওয়া হবে দেবতারই লওয়া।। তুমি যেদিন প্রসন্ন হও ঠাকুর চাহেন হেসে কাঁদলে তুমি, বুকে আমার দেবতা কাদেঁন এসে। আমি অন্ধকারে ঠাকুর পুজে ঘরের মাঝে পেলাম খুজেঁ সে যে তুমি, আমার চির অবহেলা-সওয়া।।