আমায় রাখিস্নে আর ধ’রে
বাণী
আমায় রাখিস্নে আর ধ’রে। পারের ঠাকুর (ওরে) ডাক দিয়েছে এই পারেরই অন্ধকারে মন যে কেমন করে।। আয়ু-রবির অস্ত-পথে এলো এলো ঠাকুর কনক-রথে, গোধূলি-রঙ হাসিটি তার ঝরছে চোখের ’পরে।। চোখ দু’টি মোর ভরে’ জলে বলব ঠাকুর নাও গো কোলে, রইতে নারি (আমি তোমায় ছেড়ে) রইতে নারি। আমার এ প্রাণ (পূজার ফুলের মত) (তোমার) পায়ে পড়ুক ঝ’রে।।
তুমি বর্ষার ঝরা চম্পা
বাণী
তুমি বর্ষার ঝরা চম্পা, তুমি যূথিকা-অশ্রুমতী। তুমি কুহেলি-মলিন ঊষা, তুমি বেদনা-সরস্বতী।। কদম-কেশর-কীর্ণা তুমি পুষ্প-বীথিকা শীর্ণা, হ’লে ধরণীতে অবতীর্ণা — ক্ষীণ তারকা স্নিগ্ধ জ্যোতি।। মন্দ-স্রোতা মন্দাকিনী তুমি কি অলকানন্দা, আঁধারের কালো-কুন্তল-ঢাকা তুমি কি ধূসর সন্ধ্যা? পাষাণ-দেবতা-চরণে তুমি মরেছ অমর মরণে, তুমি অঞ্জলি ঝরা কুসুমের, তুমি ব্যর্থ ব্যথা-আরতি।।
তোমার নামে একি নেশা হে প্রিয় হজরত
বাণী
তোমার নামে একি নেশা হে প্রিয় হজরত। যত চাহি তত কাঁদি, আমার মেটে না হসরত।। কোথায় আরব কোথায় এ হিন্দ্ নয়নে মোর নাই তবু নিন্দ প্রাণে শুধু জাগে (তোমার) মদিনার ঐ পথ।। কে বলে তুমি গেছ চলে হাজার বছর আগে আছ লুকিয়ে তুমি প্রিয়তম আমার অনুরাগে। মোর অন্তরের হেরা গুহায় আজো তোমার ডাক শোনা যায় জাগে আমার মনের কাবা ঘরে তোমারি সুরত — হজরত তোমারি সুরত।। যারা দোজখ হতে ত্রাণের তরে তোমায় ভালোবাসে আমার এ প্রেম দেখে তারা কেউ কাঁদে কেউ হাসে। তুমি জান হে মোর স্বামী, শাফায়াৎ চাহি না আমি আমি শুধু তোমায় চাহি তোমার মুহব্বত হজরত তোমার মুহব্বত।।
কেন আসিলে ভালোবাসিলে
বাণী
কেন আসিলে ভালোবাসিলে দিলে না ধরা জীবনে যদি। বিশাল চোখে মিশায়ে মরু চাহিলে কেন গো বে–দরদী।। ছিনু অচেতন আপনা নিয়ে কেন জাগালে আঘাত দিয়ে তব আঁখিজল সে কি শুধু ছল একি মরু হায় নহে জলধি।। ওগো কত জনমের কত সে কাঁদন করে হাহাকার বুকেরি তলায় ওগো কত নিরাশায় কত অভিমান ফেনায়ে ওঠে গভীর ব্যথায়। মিলন হবে কোথায় সে কবে কাঁদিছে সাগর স্মরিয়া নদী।।