ওহে রসিক রসাল কদলী
বাণী
ওহে রসিক রসাল কদলী। ভাবুকের তুমি ভাবের আধার পেটুকের প্রাণ-পুতলী।। আহা, তুমি যুগে যুগে বর্তমান বৃন্দাবনে মোহন বাঁশি বাঙলায় মর্তমান। বহুরূপী তুমি বহুনামধারী চম্প বীচে কাঁঠালি।। তোমার কাঁচকলা রূপের উপাসক পেট-রোগা যত ভক্ত, ঝোলে কি ভাজায় তোমারে সাজায় (তুমি) মজাও পলতা শুক্ত। নৈবেদ্যে ও আদ্য শ্রাদ্ধে দয়াময়, জগতের যত নর-বানর তোমার কৃপার কাঙালি।।
কৌতুক নাটিকা : ‘পণ্ডিত মশায়ের ব্যাঘ্র শিকার’
বৈকালী সুরে গাও চৈতালি গান
বাণী
বৈকালী সুরে গাও চৈতালি গান, বসন্ত হয় অবসান। নহবতে বাজে সকরুণ মূলতান।। নীরব আনমনা পিক চেয়ে আছে দূরে অনিমিখ ধূলি-ধূসর হলো দিক আসে বৈশাখ অভিযান।। চম্পা-মালা রবমলিন লুটায় ফুল-ঝরা বন-বীথিকায়, ঢেলে দাও সঞ্চিত প্রাণের মধু-যৌবন দেবতার পায়। অনন্ত বিরহ-ব্যথায় ক্ষণিকের মিলন হেথায় ফিরে নাহি আসে যাহা যায়-নিমেষের মধুতর গান।।
ভাই হয়ে ভাই চিনবি আবার গাইব কি আর
বাণী
ভাই হয়ে ভাই চিনবি আবার গাইব কি আর এমন গান! সেদিন দুয়ার ভেঙে আসবে জোয়ার মরা গাঙে ডাকবে বান।। তোরা স্বার্থ-পিশাচ যেমন কুকুর তেমনি মুগুর পাস রে মান। সেই কলজে চুঁয়ে গলছে রক্ত দলছে পায়ে ডলছে কান।। ওরে তোরা করিস লাঠালাঠি সিন্ধু-ডাকাত লুটছে ধান! তাই গোবর-গাদা মাথায় তোদের কাঁঠাল ভেঙে খায় শেয়ান।। ছিলি সিংহ ব্যাঘ্র, হিংসা-যুদ্ধে আজকে এমন ক্ষিন্ন প্রাণ। মুখের গ্রাস ঐ গিলছে শেয়াল, তোমরা শুয়ে নিচ্ছ ঘ্রাণ।। তোরা বাঁদর ডেকে মানলি সালিশ ভাইকে দিতে ফাটলো প্রাণ! সালিশ নিজেই, ‘খা ডালা সব’, বোকা তোদের এই দেখান।। তোরা নাক কেটে নিজ পরের যাত্রা ভঙ্গ করিস বুদ্ধিমান তোদের কে যে ভালো কে যে মন্দ সব শিয়ালই এক সমান।। শুনি আপন ভিটের কুকুর রাজা, তার চেয়েও হীন তোদের প্রাণ। তাই তোদের দেশ এই হিন্দুস্থানে নাই তোদেরই বিন্দু স্থান।। আজ সাধে ভারত-বিধাতা কি চোখ বেঁধে ঐ মুখ লুকান! তোরা বিশ্বে যে তার রাখিসনে ঠাঁই কানা গরুর ভীন বাথান।। তোরা করলি কেবল অহরহ নীচ কলহের পরল পান। আজ বুঝলি নে হায় নাড়ি-ছেড়া মায়ের পেটের ভায়ের টান।।
আমি বাঁধন যত খুলিতে চাই
বাণী
আমি বাঁধন যত খুলিতে চাই জড়িয়ে পড়ি তত। শুভদিন এলো না দিনে দিনে দিন হল হায় গত।। শত দুঃখ অভাব নিয়ে জগৎ আছে জাল বিছিয়ে অসহায় এ পরান কাঁদে জালে মীনের মত।। বোঝা যত কমাতে চাই ততই বাড়ে বোঝা, শান্তি কবে পাব কবে চল্ব হয়ে সোজা। দাও ব’লে হে জগৎ-স্বামী মুক্তি কবে পাব আমি? কবে উঠবে ফুটে জীবন আমার ভোরের ফুলের মত।।
মুসাফির মোছ্ রে আঁখি–জল
বাণী
মুছাফির! মোছ্ রে আঁখি-জল ফিরে চল আপনারে নিয়া আপনি ফুটেছিল ফুল গিয়াছে আপ্নি ঝরিয়া।। রে পাগল! একি দুরাশা, জলে তুই বাঁধ্বি রে বাসা! মেটে না হেথায় পিয়াসা হেথা নাই তৃষা-দরিয়া।। বরষায় ফুটল না বকুল পউষে ফুট্বে কি সে ফুল (রে) এ পথে ঝরে সদা ভুল নিরাশার কানন ভরিয়া।। রে কবি! কতই দেয়ালি জ্বালিলি তোর আলো জ্বালি’ এলো না তোর বনমালী আধাঁর আজ তোরই দুনিয়া।।