বাণী

কে এলে মোর চিরচেনা অতিথি দ্বারে মম।
ফুলের বুকে মধুর মত পরাগে সুবাস সম।।
	বর্ষা-শেষে চাঁদের মতন
	উদয় তোমার নীরব গোপন,
জোছনা-ধারায় নিখিল ভুবন ছাইয়া অনুপম।।
	হৃদয় বলে, চিনি চিনি
	আঁখি বলে দেখিনি,
তায়, মন বলে, প্রিয়তম।।

বাণী

আমার	মুক্তি নিয়ে কি হবে মা, (মাগো) আমি তোরেই চাই
		স্বর্গ আমি চাইনে মাগো, কোল্ যদি তোর পাই॥
(মাগো)		কি হবে সে মুক্তি নিয়ে,
			কি হবে সে স্বর্গে গিয়ে;
		যেথায় গিয়ে তোকে ডাকার আর প্রয়োজন নাই॥
		যুগে যুগে যে লোকে মা প্রকাশ হবে তোর
(আমি)	পুত্র হয়ে দেখব লীলা এই বাসনা মোর।
			তুই, মাখাস্ যদি মাখ্‌ব ধূলি,
			শুধু তোকে যেন নাহি ভুলি;
		তুই, মুছিয়ে ধূলি নিবি তুলি বক্ষে দিবি ঠাঁই॥

বাণী

মোর		ঘুমঘোরে এলে মনোহর নমো নম, নমো নম, নমো নম।
		শ্রাবণ-মেঘে নাচে নটবর রমঝম, রমঝম, ঝমরম
			(ঝমঝম, রমঝম, রমঝম)।।
শিয়রে		বসি চুপি চুপি চুমিলে নয়ন
মোর		বিকশিল আবেশে তনু নীপ-সম, নিরুপম, মনোরম।।
মোর		ফুলবনে ছিল যত ফুল
			ভরি ডালি দিনু ঢালি’ দেবতা মোর
হায়		নিলে না সে ফুল, ছি ছি বেভুল,
			নিলে তুলি’ খোঁপা খুলি’ কুসুম-ডোর।
স্বপনে		কী যে কয়েছি তাই গিয়াছ চলি’
জাগিয়া	কেঁদে ডাকি দেবতায় প্রিয়তম, প্রিয়তম, প্রিয়তম।।

বাণী

কিশোরী সাধিকা রাধিকা শ্রীমতী।
চির-কিশোর আরাধিকা শ্রীমতী।।
	কমলা গোলোকে
	গোপিনী ভুলোকে,
সেবিকা প্রকৃতি পরমা তপতী।।
	শ্যাম ভুবন কালো
	রাই অরুণ আলো,
হরি পূজারিণী প্রেম মূর্তিমতী।।
	ব্রজধাম বাসিনী
	লীলা বিলাসিনী,
শ্যাম নাম ভাষিণী বিরহ ভারতী।।
	শ্যাম মেঘ গলে
	রাই বিজলি দোলে,
শ্যাম পত্র কোলে রাই ফুল আরতি।।
	লয়ে যাঁহার নাম
	হরি হন রাধা শ্যাম,
সুর নর অবিরাম করে যাঁর প্রণতি।।

বাণী

এসো	মা ভারত-জননী আবার জগৎ-তারিণী সাজে।
	রাজরানী মা’র ভিখারিনী বেশ দেখে প্রাণে বড় বাজে॥
		শিশু-জগতেরে মায়ের মতন,
		তুমি মা প্রথম করিলে পালন,
আজ	মাগো তোরই সন্তানগণ কাঁদিছে দৈন্য-লাজে॥
		আঁধার বিশ্বে তুমি কল্যাণী
		জ্বালিলে প্রথম জ্ঞান-দীপ আনি;
	হইলে বিশ্ব-নন্দিতা রানী নিখিল নর-সমাজে॥
		দেখা মা পুন সে অতীত মহিমা,
		মুছে দে ভীরুতা গ্লানির কালিমা,
	রাঙায়ে আবার দশদিক-সীমা দাঁড়া মা বিশ্ব-মাঝে॥

বাণী

বিষাদিনী এসো শাওন সন্ধ্যায়
		কাঁদিব দুজনে।
দীপালির উৎসবে আঁধারের ঠাঁই নাহি
		কাহারো হাসি যদি নিভে যায়।
তোমারি মতো তাই ম্লান-মুখ চিরদিন
		লুকায়ে রাখি অবগুণ্ঠনে॥