মোরে সেইরূপে দেখা দাও হরি
বাণী
মোরে সেইরূপে দেখা দাও হরি। তুমি ব্রজের বালারে রাই কিশোরীরে ভুলাইলে যেই রূপ ধরি’।। হরি বাজায়ো বাঁশরি সেই সাথে, যে বাঁশি শুনিয়া ধেনু গোঠে যেত উজান বহিত যমুনাতে। যে নূপুর শুনে ময়ূর নাচিত এসো হে সেই নূপুর পরি।। নন্দ যশোদা কোলে গোপাল যে রূপে খেলিতে, ক্ষীর ননী খেতে এসো সেই রূপে ব্রজ দুলাল। যে পীত বসনে কদম তলায় নাচিতে এসো সে বেশ পরি।। কংসে বধিলে যে রূপে শ্যাম, কুরুক্ষেত্রে হলে সারথি এসো সেইরূপে এ ধরাধাম। যে রূপে গাহিলে গীতা নারায়ণ, এসো সে বিরাট রূপ ধরি।।
করুণ কেন অরুণ আঁখি
বাণী
করুণ কেন অরুণ আঁখি দাও গো সাকি দাও শারাব হায় সাকি এ আঙ্গুরী খুন নয় ও হিয়ার খুন–খারাব।। আর সহে না দিল্ নিয়ে এই দিল–দরদির দিল্লাগী, তাইতে চালাই নীল পিয়ালায় লাল শিরাজি বে–হিসাব।। হারাম কি এই রঙিন পানি আর হালাল এই জল চোখের? নরক আমার হউক মঞ্জুর বিদায় বন্ধু!লও আদাব।। দেখ্ রে কবি, প্রিয়ার ছবি এই শারাবের আর্শিতে, লাল গেলাসের কাঁচ্–মহলার পার হ’তে তার শোন্ জবাব্।।
আমি চাই পৃথিবীর ফুল ছায়া
বাণী
ঝর্না : আমি চাই পৃথিবীর ফুল ছায়া ঢাকা ঘরে খেলা। ব্রহ্মপুত্র : আমি চাই দূর আকাশের তারা সাগরে ভাসাতে ভেলা।। ঝর্না : আমি চাই আয়ু, চাই আলো প্রাণ ব্রহ্মপুত্র : মরণের মাঝে মোর অভিযান, উভয়ে : মোরা একটি বৃন্তে যেন দু’টি ফুল প্রেম আর অবহেলা।। ব্রহ্মপুত্র : আমি বাহির ভুবনে ছুটে যেতে চাই উদাসীন সন্ন্যাসী, ঝর্না : হে উদাসীন! তব তপোবনে তাই উর্বশী হয়ে আসি। ব্রহ্মপুত্র : মোর ধ্বংসের মাঝে উল্লাস জাগে ঝর্না : তাই বাঁধি নিতি নব অনুরাগে, উভয়ে : মোরা চিরদিন খেলি এই খেলা, গ’ড়ে তোলা ভেঙে ফেলা।।
নাটক : `হরপার্বতী’ (ঝর্না ও ব্রহ্মপুত্রের দ্বৈত গান)