বাণী

ও কে কলসি ভাসায়ে জলে আনমনে।
তীরে ব’সে কী ভাবে আর ঢেউ গণে।।
নিয়ে শিথিল আঁচল খেলে উতল সমীর
তার আল্‌তা পায়ের মুছে নেয় নদী-নীর,
খুলে কবরী জড়ায় হাতের কাঁকনে।।
সে জল্‌কে আসার ছলে নদী-তীরে
শুধু ওপার পানে চাহে ফিরে ফিরে,
খুলে পায়ের নূপুর ফেলে দেয় সে নীরে —
আসে ঘরে ফিরে নিয়ে জল নয়নে।।

বাণী

নারদ	:	হৃদি-পদ্মে চরণ রাখো বাঁকা ঘনশ্যাম।
ধ্রুব	:	বাঁকা শিখী-পাখা নয়ন বাঁকা বঙ্কিম ঠাম॥
নারদ	:	তুমি দাঁড়ায়ো ত্রিভঙ্গে!
ধ্রুব	:	অধরে মুরলী ধরি দাঁড়ায়ো ত্রিভঙ্গে॥
নারদ	:	সোনার গোধূলি যেন নিবিড় সুনীল নভে
		পীতধড়া প’রো কালো অঙ্গে (হরি হে)
ধ্রুব	:	নীল কপোত সম চরণ দুটি
		নেচে যাক অপরূপ ভঙ্গে (হরি হে)
উভয়	:	যেন নূপুর বাজে
		হরি সেই পায়ে যেন নূপুর বাজে।
		বনে নয় শ্যাম মনোমাঝে যেন নূপুর বাজে।
		ঐ চরণে জড়ায়ে পরান আমার
		(যেন) মঞ্জির হয়ে বাজে॥

চলচ্চিত্রঃ ‘ধ্রুব’ (ধ্রুব ও নারদের গান)

বাণী

যায়	ঝিল্‌মিল্ ঝিল্‌মিল্ ঢেউ তুলে দেহের কূলে
	কে চঞ্চলা দিগঞ্চলা মেঘ-ঘন-কুন্তলা।
	দেয় দোলা পুব-সমীরণে বনে বনে দেয় দোলা।।
	চলে নাগরি দোলে ঘাগরি
	কাঁখে বরষা-জলের গাগরি
	বাজে নূপুর-সুর-লহরি
	রিমি ঝিম্‌, রিম ঝিম্, রিম ঝিম্‌ চল-চপলা।।
	দেয়ারই তালে কেয়া কদম নাচে
	ময়ূর-ময়ূরী নাচে তমাল-গাছে।
	এলায়ে মেঘ-বেণী কাল-ফণি
	আসিল কি দেব-কুমারী নন্দন-পথ-ভোলা।।

বাণী

পুরুষ		: 	নবীন বসন্তের রানী তুমি গোলাব-ফুলী রঙ।
স্ত্রী		: 	তব অনুরাগের রঙে আমি উঠিয়াছি আজ রেঙে
						প্রিয় এই অপরূপ ঢঙ।।
পুরুষ		: 	পলাশ কৃষ্ণচূড়ার কলি
			রাঙা ও-পায়ে এলে কি দলি’?
স্ত্রী		:	বেয়ে প্রেমের পথের গলি
			এলাম কঠোর হৃদয় দলি’,
			হের পায়ে তাহারি রঙ।।
পুরুষ		:	হায়, হৃদয়-হীনা হৃদয়-সাথি হয় না তা জানি,
			অবুঝ হৃদয় তবু চাহে তায় জানে সে-পাষাণী।
স্ত্রী		:	ধরিয়া পায়ে প্রেম জানায়ে
			যাও পালায়ে শেষে কাঁদায়ে
			কাঁদাই যতই, কাঁদি যে ততই;
পুরুষ		:	বায়ু কেঁদে যায় ফুল ঝরায়ে।
স্ত্রী		:	না, না, যাও যাও মন চেয়ো না
			গন্ধ লহ, ফুল চেয়ো না;
			আছে কাঁটা ফুলের সঙ্গ।।
উভয়ে		:	যাই চল সেই কাননে
			নাই কাঁটা ফুলের সনে
			যথা নাই বিরহ, শুধু মিলন।।

বাণী

থৈ থৈ জলে ডুবে গেছে পথ এসো এসো পথ ভোলা,
সবাই দুয়ার বন্ধ করেছে (আছে) আমার দুয়ার খোলা।।
	সৃষ্টি ডুবায়ে ঝরুক বৃষ্টি,
	ঘন মেঘে ঢাকো সবার দৃষ্টি,
ভুলিয়া ভুবন দুলিব দু'জন গাহি' প্রেম হিন্দোলা।।
সব পথ যবে হারাইয়া যায় দুর্দিনে মেঘে ঝড়ে,
কোন পথে এসে সহসা সেদিন দোলো মোরে বুকে ধ'রে।
	নিরাশা-তিমিরে ঢাকা দশ দিশি,
	এলো যদি আজ মিলনের নিশি,
আষাঢ়-ঝুলনা বাঁধিয়া শ্রীহরি দাও দাও মোরে দোলা।।

গীতি-আলেখ্য: ‌‘হিন্দোলা’

বাণী

		ভুল করেছি ওমা শ্যামা বনের পশু বলি দিয়ে।
(তাই)		পূজিতে তোর রাঙা চরণ এলাম মনের পশু নিয়ে॥
			তুই যে বলিদান চেয়েছিস
			কাম-ছাগ, ক্রোধ-রূপী মহিষ,
		মা তোর পায়ে দিলাম লোভের জবা মোহ-রিপুর ধূপ জ্বালিয়ে॥
মাগো		দিলাম হৃদয়-কমন্ডলুর মদ-সলিল তোর চরণে,
		মাৎসর্য্যের পূর্ণাহুতি দিলাম পায়ে পূর্ণ মনে।
			ষড় রিপুর উপচারে
			যে পূজা চাস্ মা বারে বারে
		সেই পূজারই মন্ত্র মাগো ভক্তরে তোর দে শিখিয়ে॥