শূণ্য এ বুকে পাখি মোর আয়
বাণী
শূন্য এ–বুকে পাখি মোর আয় ফিরে আয় ফিরে আয়! তোরে না হেরিয়া সকালের ফুল অকালে ঝরিয়া যায়।। তুই নাই ব’লে ওরে উন্মাদ পান্ডুর হ’ল আকাশের চাঁদ, কেঁদে নদী–জল করুণ বিষাদ ডাকে: ‘আয় ফিরে আয়’।। গগনে মেলিয়া শত শত কর খোঁজে তোরে তরু, ওরে সুন্দর! তোর তরে বনে উঠিয়াছে ঝড় লুটায় লতা ধূলায়! তুই ফিরে এলে, ওরে চঞ্চল আবার ফুটিবে বন ফুল–দল ধূসর আকাশ হইবে সুনীল তোর চোখের চাওয়ায়।।
শ্যামা নামের লাগলো আগুন
বাণী
শ্যামা নামের লাগলো আগুন আমার দেহ ধূপ–কাঠিতে। যত জ্বলি সুবাস তত ছড়িয়ে পড়ে চারিভিতে।। ভক্তি আমার ধূমের মত উর্দ্ধে ওঠে অবিরত, শিব–লোকের দেব–দেউলে মা’র শ্রীচরণ পরশিতে।। ওগো অন্তর–লোক শুদ্ধ হল পবিত্র সেই ধূপ–সুবাসে, মা’র হাসিমুখ চিত্তে ভাসে চন্দ্রসম নীল আকাশে। যা কিছু মোর পুড়ে কবে চিরতরে ভস্ম হবে মা’র ললাটে আঁকব তিলক সেই ভস্ম–বিভূতিতে।।
শ্যামা নামের ভেলায় চ'ড়ে
বাণী
শ্যামা নামের ভেলায় চ'ড়ে কাল-নদীতে দুলি। ঘাটে ঘাটে ঘটে ঘটে (আমি) সুরের লহর তুলি।। কাল-তরঙ্গে ভাসিয়ে অঙ্গ, দেখে বেড়াই কত রঙ্গ, কায়ায় কায়ায় রঙ-বেরঙের (ওরে) শত মায়ার ঠুলি।। জন্মান্তর ঘাটে ঘাটে ভাসি উঠি ডুবি মা নিশিদিন ডাকে আমায়, 'ওরে আয় আমারে ছুঁবি'। মোরে কাল-স্রোতে ভাসানের ছলে মা লীলা দেখান নাট-মহলে ওই খেলার (ছলে) শেষে আপনি এসে (মা) বক্ষে নেবেন তুলি।।
শঙ্কাশূন্য লক্ষ কন্ঠে বাজিছে শঙ্খ ঐ
বাণী
শঙ্কাশূন্য লক্ষ কন্ঠে বাজিছে শঙ্খ ঐ পুণ্য-চিত্ত মৃত্যু তীর্থ-পথের যাত্রী কই।। আগে জাগে বাধা ও ভয় ও ভয়ে ভীত নয় হৃদয় জানি মোরা হবই হব জয়ী।। জাগায়ে প্রাণে প্রানে নব আশা, ভাষাহীন মুখে ভাষা হে নবীন আন নব পথের দিশা নিশি শেষের ঊষা কেহ না দেশে মানুষ তোমরা বৈ।। স্বর্গ রচিয়া মৃত্যুহীন চল ওরে কাঁচা চল নবীন দৃপ্ত চরণে নৃত্য দোল জাগায়ে মরুতে রে বেদুইন! 'নাই নিশি নাই' জাগে শুভ্র দীপ্ত দিন। নাই ওরে ভয় নাই জাগে ঊর্দ্ধে দেবী জননী শক্তিময়ী।।