মালা গাঁথা শেষ না হ’তে
বাণী
মালা গাঁথা শেষ না হ’তে তুমি এলে ঘরে। শূন্য হাতে তোমায় বরণ করব কেমন ক’রে।। লজ্জা পাবার অবসর মোর দিলে না হে চঞ্চল, চোর সজ্জা-বিহীন মলিন তনু দেখলে নয়ন ভ’রে।। বিফল মালার ফুলগুলি হায় কোথায় এখন রাখি, ক্ষণিক দাঁড়াও, ঐ কুসুমে (তোমার) চরণ দু’টি ঢাকি। আকুল কেশে পা মুছিয়ে করব বাতাস আঁচল দিয়ে, (মোর) নয়ন হবে আরতি-দীপ তোমার পূজার তরে।।
মাধব বংশীধারী বনওয়ারী
বাণী
মাধব বংশীধারী বনওয়ারী গোঠ-চারী গোবিন্দ কৃষ্ণ মুরারী। গোবিন্দ কৃষ্ণ মুরারি হে পাপ-তাপ-দুখ-হারী।। কালরূপ কভু দৈত্য-নিধনে, চিকন কালা কভু বিহর বনে, কভু বাজাও বেণু, খেল ধেনু-সনে, কভু বামে রাধা প্যারী, গোপ-নারী মনোহারি, নিকুঞ্জ-লীলা-বিহারী।। কুরুক্ষেত্র-রণে পান্ডব-মিতা, কন্ঠে অভয়বাণী ভগবদ্-গীতা, পূর্ণ ভগবান পরম পিতা, শঙ্খ-চক্র-গদাধারী, পাপ-তারী, কান্ডারি ত্রিভুবন সৃজনকারী।।
মনে যে মোর মনের ঠাকুর তারেই আমি
বাণী
মনে যে মোর মনের ঠাকুর তারেই আমি পূজা করি, আমার দেহের পঞ্চভূতের পঞ্চপ্রদীপ তুলে ধরি।। ফকির যোগী হয়ে বনে ফিরি না তার অন্বেষণে আমি মনের দুয়ার খুলে দেখি রূপের জোয়ার মরি মরি।। আছেন যিনি ঘিরে আমায় তারে আমি খুঁজব কোথায় সাগরে খুঁজে বেড়াই সাগর বুকে ভাসিয়ে তরী। মন্দিরের ঐ বন্ধ খোঁপে ঠাকুর কি রয় পূজার লোভে? পেতে রাখি ভক্তি বেদী আসবে নেমে প্রেমের হরি।।
মন দিয়ে যে দেখি তোমায় তাই দেখিনে
বাণী
মন দিয়ে যে দেখি তোমায় তাই দেখিনে নয়ন দিয়ে। পরান আছে বিভোর হয়ে তোমার নামের ধেয়ান নিয়ে॥ হৃদয় জুড়ে আছ ব’লে, এড়িয়ে চলি নানান ছলে। আছ আমার অন্তরে, তাই অন্তরালে রই লুকিয়ে॥ আমার কথা শুনাই না গো তোমার কথা শোনার আশায়, ভরে আছে অন্তর মোর বন্ধু তোমার ভালোবাসায়। তোমায় ভালো বাসতে পেরে পেয়েছি মোর আনন্দেরে অমর হলাম হে প্রিয় মোর তোমার প্রেমের সুধা পিয়ে॥