বাণী

ঘন দেয়া গরজায় গো — কেঁদে ফেরে পূবালী বায়।।
একা ঘরে মম ডর লাগে, কার বিধুর স্মৃতি মনে জাগে,
বারি ধারে কাঁদে চারিধার, সে কোথায় আজি সে কোথায়।।
গগনে বরষে বারি, তৃষ্ণা গেল না তবু আমারি,
কোন্‌ দূর দেশে প্রিয়তম এ বিধুর বরষায়।।

বাণী

ঘুম টুটেছে ফুল-কলিদের রঙ লেগেছে ফুলবনে।
দখিনা বাতাস আভাসে জানায় আগমনী তার মোর মনে।।
	মন উচাটন, মনে রয় না রয় না
	তার বিনা, কথা আর, কয় না কয় না,
নয়নে ঘুম আর সয় না সয় না — শুধাই তা’র কথা জনে জনে।।
রাঙা রঙের ছোঁয়া লাগে লাজ-রাঙা মোর মনে।
নিশীথ-রাতে পলাশ-বনে মিল্‌ব কি বঁধুর সনে।।

বাণী

ঘন ঘোর বরিষণ মেঘ-ডমরু বাজে
শ্রাবণ রজনী আঁধার।
বেদনা-বিজুরি-শিখা রহি’ রহি’ চমকে
মন চাহে প্রেম অভিসার॥
কোথা তুমি মাধব কোথা তুমি শ্যামরায়?
ঝরিছে নয়ন-বারি অঝোর ধারায়,
কদম-কেয়া-বনে
ডাহুকী আনমনে —
সাথি বিনা কাঁদে অনিবার॥

বাণী

ঘোর ঘন ঘটা ছাইল গগন
ভুবন গভীর বিষাদ মগন।।
নাহি রবি শশী নাহি গ্রহ তারা
নিখিল নয়নে শ্রাবণের ধারা
সৃষ্টি ডুবালো গো’ স্রোতের প্লাবন।।

নাটক: সাবিত্রী

বাণী

ঘুমায়েছে ফুল পথের ধূলায় (ওগো)
	জাগিয়ো না উহারে ঘুমাইতে দাও।
বনের পাখী ধীরে গাহ গান
	দখিনা হাওয়া ধীরে ধীরে বয়ে যাও।।
এখনো শুকায়নি চোখে তারই জল
	এখনো আঁধারে হাসি ছলছল
প্রভাত রবি শুকায়ো না তায়
	ধীরে কিরণে তাহারি নয়নে চাও।।
সামলে পথিক ফেলিয়ো চরন
	ঝরেছে হেথায় ফুলেরও জীবন।
ভুলিয়া দল না ঝরা পাতাগুলি
	ফুল সমাধি থাকিতে পারে হেথাও।।

বাণী

ঘুম আয় ঘুম।
নিশুতি দুপুর নিশীথ নিঝুম।।
টুলটুল ঝিঙে ফুল ঘুমে ঝিমায়,
ঝুমকো লতায় ঝিঁঝিঁ আলসে ঘুমায়,
খোকনের চোখে দেয় ঘুমপরী চুম্।।

নাটিকা : ‘জুজুবুড়ির ভয়’