দোহাই তোদের এবার তোরা
বাণী
দোহাই তোদের! এবার তোরা সত্যি করে সত্য বল্। ঢের দেখালি ঢাক ঢাক গুড় গুড় ঢের মিথ্যা ছল।। পেটে এক আর মুখে আরেক — এই যে তোদের ভন্ডামি, এতেই তোরা লোক হাসালি, বিশ্বে হলি কম্-দামি। নিজের কাছেও ক্ষুদ্র হলি আপন ফাঁকির আফসোসে, বাইরে ফাঁকা পাঁয়তারা তাই, নাই তলোয়ার খাপ-কোষে। তাই হলি সব সেরেফ আজ কাপুরুষ আর ফেরেব-বাজ সত্য কথা বলতে ডরাস তোরাই আবার করবি কাজ — ফোঁপরা ঢেঁকির নেইক লাজ। ইলশেগুড়ি বৃষ্টি দেখেই ঘর ছুটিস্ সব রাম-ছাগল! যুক্তি তোদের খুব বুঝেছি, দুধকে দুধ আর জলকে জল।।
দু’হাতে ফুল ছড়ায়ে
বাণী
দু’হাতে ফুল ছড়ায়ে মন রাঙায়ে ধরায় আসি। প্রথম যৌবনেরই ঘুম ভাঙাতে বাজাই বাঁশি।। আমি কই, দেখরে চেয়ে, নেইরে জরা আজিও চির নূতন — সেই পুরাতন বসুন্ধরা, মাধবী চাঁদের চোখে আঁকা আজো বাঁকা হাসি।। ফুটাই আশার কোলে শুকনো ডালে অবসাদ আসে যবে সাধ ফুরালে, আমি কই, এই ত’ সুরাপাত্র-পুরা রস-পিয়াসী।।
নাটক : ‘হরপার্বতী’ (কন্দর্পের গান)
দিতে এলে ফুল হে প্রিয়
বাণী
দিতে এলে ফুল,হে প্রিয়,কে আজি সমাধিতে মোর? এতদিনে কি আমারে পড়িল মনে মনচোর।। জীবনে যারে চাহনি তাহারে ঘুমাইতে দাও। মরণ-পারে ভেঙো না,ভেঙো না তাহার ঘুম-ঘোর।। দিতে এসে ফুল কেঁদো না প্রিয় মোর,সমাধি-পাশে ঝরিল যে ফুল অনাদরে হায়,নয়ন-জলে বাঁচিবে না সে! সামাধি-পাষাণ নহে গো তোমার সমান কঠোর।। কত আশা,সাধ মিশে যায় মাটির সনে মুকুলে ঝরে কত ফুল কীটেরি দহনে। কেন অসময়ে আসিলে,ফিরে যাও,মোছ আঁখি -লোর।।
দূর প্রবাসে প্রাণ কাঁদে আজ
বাণী
দূর প্রবাসে প্রাণ কাঁদে আজ শরতের ভোর হাওয়ায়। শিশির-ভেজা শিউলি ফুলের গন্ধে কেন কান্না পায়।। সন্ধ্যা বেলার পাখির সম মন উড়ে যায় নীড়-পানে। নয়ন-জলের মালা গাঁথে বিরহিণী এক্লা, হায়।। কোন্ সুদূরে নওবতে কার বাজে সানাই যোগিয়ায়। টলমল টলিছে মন কমল-পাতে শিশির-প্রায়।। ফেরেনি আজ ঘরে কে হায় ঘরে যে আর ফিরবে না। কেঁদে কেঁদে তারেই যেন ডাকে বাঁশি, ‘ফিরে আয়’।।