বাণী

আঁখি ঘুম-ঘুম-ঘুম নিশীথ নিঝুম ঘুমে ঝিমায়।
বাহুর ফাঁদে স্বপন-চাঁদে বাঁধিতে কারে চায়।।
আমি কারো লাগি একা নিশি জাগি বিরহ-ব্যথায়
কোথায় কাহার বুকে বঁধু ঘুমায়
কাঁদি চাতকিনী মরে তৃষায়
কুসুম-গন্ধ আজি যেন বিষ-মাখা হায়।।
	কেন এ ব্যথা এ আকুলতা
	পরের লাগি এ পরান পুড়ে?
মরুভূমিতে বারি কি ঝুরে
আমি যেন ম’রে তোরি রূপ ধ’রে আসি সে যাহারে চায়।।

বাণী

সহসা কি গোল বাঁধালো পাপিয়া আর পিকে
গোলাপ ফুলের টুকটুকে রঙ চোখে লাগে ফিকে।।
	নাই বৃষ্টি বাদল ওলো,
	দৃষ্টি কেন ঝাপসা হলো?
অশ্রু জলের ঝালর দোলে চোখের পাতার চিকে।।
পলাশ-কলির লাল আঁখরে বনের দিকে দিকে
গোপন আমার ব্যথার কথা কে গেল সই লিখে।
	মনে আমার পাইনে লো খেই;
	কে যেন নেই, কি যেন নেই।
কে বনবাস দিল আমার মনের বাসন্তীকে।।

বাণী

মদিনার শাহানশাহ্ কোহ্-ই-তূর-বিহারী
মোহাম্মদ মোস্তফা নবুয়তধারী॥
আল্লার প্রিয় সখা, দুলাল মা আমেনার
খাদিজার স্বামী, প্রিয়তম আয়েশার
আস্‌হাবের হাম্‌দম্‌, ওয়ালেদ ফাতেমার,
বেলালের আজান, খালেদের তলোয়ার,
কেয়ামতে উম্মত শাফায়ত-কারী॥
তৌহিদ-বাণী মুখে, আল-কোরআন হাতে
খোদার নূর দেখি যাঁর হাসির ইশারাতে
যাঁর কদমের নীচে দুলে কত জিন্নাত,
যে দু’হাতে বিলালো দুনিয়ায় খোদার মোহাব্বত
হো মেরাজের দুলহা আল্লার আর্শচারী॥
নয়নে যাঁর সদা খোদার রহমত ঝরে
সংসার মরুবাসী পিয়াসার তরে
আনিল যে কওসর সাহারা নিঙাড়ি’॥

বাণী

গভীর ঘুম ঘোরে স্বপনে শ্যাম-কিশোরে হেরে’ প্রেমময়ী রাধা।
রাধারে ত্যজিয়া আঁধার নিশীথে চন্দ্রার সাথে বাঁধা।(শ্যাম-চাঁদ)
যেন চাঁদের বুকে কলঙ্ক গো নির্মল শ্যাম-চাঁদের বুকে চন্দ্রা যেন কলঙ্ক গো।।
অরুণ নয়ানে মলিন বয়ানে জাগিল অভিমানিনী
(ভাবে) রাধার হৃদয় আধার যাহার সে কেন ভজে কামিনী।
শ্রীরাধার মান ভয়হীন, তাই শ্রীরাধা অভিমানিনী,
পরমশুদ্ধ প্রেম শ্রীরাধার, নির্ভয় অভিমানিনী।।
কৃষ্ণকেও সে ভয় করে না, নির্ভয় অভিমানিনী রাধা বুঝতে নারে গো
চির-সরল অমৃতময় গরল কেন হয় বুঝতে নারে গো
কাঁপে থরথর সারা কলেবর, ভাবে রাধা একি বিপরীত।
প্রেম ভিক্ষু কহে, বুঝি বুঝিবার নহে চঞ্চল শ্যামের রীত।।
বোঝা যে যায় না চঞ্চল শ্যামের রীত
অবুঝ মনের বোঝা যায় না তাতে তবু কখন সে রাধার, কখন সে চন্দ্রার।।

গীতিচিত্র: ‘অভিমানিনী’

বাণী

মীরা		:	আমার হৃদয়-বৃন্দাবনে নাচেরে গিরিধারী বনমালিয়া।
			সব সংশয়-ভঞ্জন নিতি মম চিত-রঞ্জন নবীন বারিদ গঞ্জন-কালিয়া।।
শ্রীকৃষ্ণ		:	তুমি এমন ক’রে আমায় ধ’রে রাখলে চিরদিন
			আমি এমনি ক’রে যুগে যুগে শুধছি প্রেমের ঋণ,
			তাই নেমে ধরায় নয়ন ধারায় ভাসায়েছি নদীয়া।।
মীরা		:	চির উজ্জ্বল হিয়া তলে
			হে নাথ আসিবে ব’লে
			রেখেছি প্রেমের শিখা জ্বালিয়া।।
শ্রীকৃষ্ণ		:	আমারে কাঁদালে আপনি কাঁদিয়া
মীরা		:	এসো নাথ এসো নাথ
			ধোয়াব রাতুল চরণ যুগল নয়ন সলিল ঢালিয়া।।

নাটিকা : ‘মীরাবাঈ’

বাণী

সই,পলাশ-বনে রঙ ছড়ালো কে?
সেই রঙে রঙিন মানুষটিরে কাছে ডেকে দে,লো।
	সে ফাগুন জাগায় আগুন লাগায়,
	স্বপন ভাঙায় হৃদয় রাঙায় রে,
তা'রে ধরতে গেলে পালিয়ে সে যায় রঙ ছুঁড়ে চোখে।।
সে ভোরের বেলায় ভ্রমর হয়ে পদ্মবনে কাঁদে
তারা বাঁকা ধনুক যায় দেখা ঐ সাঁঝ-আকাশের চাঁদে।
	সেই গভীর রাতে আবির হাতে
	রঙ খেলে ফুল-পরীর সাথে লো
তার রঙিন সিঁথি দেখি প্রজাপতির পালকে।।