তুমি দিয়েছ দুঃখ-শোক-বেদনা তোমারি জয়
বাণী
তুমি দিয়েছ দুঃখ-শোক-বেদনা, তোমারি জয় তোমারি জয়। ভালোবাস যারে কাঁদাও তাহারে ছলানাময়। তোমারি জয়, তোমারি জয়, তোমারি জয়॥ তুমি কাঁদায়েছ বসুদেব দেবকীরে, নন্দ যশোদা ব্রজের গোপীরে, কাঁদাইলে তুমি শত শ্রীমতীরে হে নিরদয়। তোমারি জয়, তোমারি জয়, তোমারি জয়॥ তোমারে চাহিয়া কোটি নয়নে বিরহ অশ্রু ঝুরে, ধরণী যে আজ ডুবু ডুবু শ্যাম সাগর সলিলে পুরে। ভক্তে কাঁদাতে হে ব্যথা বিলাসী যুগে যুগে আসি’ বাজাইলে বাঁশি তবুও এ-প্রাণ তোমারি পিয়াসি মানে না ভয়। তোমারি জয়, তোমারি জয়, তোমারি জয়।
বৈতালিক
কোন্ ফুলেরি মালা দিই তোমার গলে
বাণী
পুরুষ : কোন্ ফুলেরি মালা দিই তোমার গলে লো প্রিয়া বুলবুল গাহিয়া উঠে তব ফুলেল পরশ নিয়া॥ স্ত্রী : হাতে দিও হেনার গুছি কেশে শিরিন ফুল। কর্ণে দিও টগর কুঁড়ি অপ্রাজিতার দুল। বুন্দকলির মালা দিও নাই পেলে বকুল ফুলের সাথে হৃদয় দিতে হয় না যেন ভুল॥ পুরুষ : কোন ভূষণে রানী ও রূপের করি আরতি হয় সোনার বরণ মলিন হেরি তোমার রূপের জ্যোতি। স্ত্রী : তোমার বাহুর বাঁধন প্রিয় সেই তো গলার হার হাতে দিও মিলন রাখি খুলবে না যা আর। কানে দিও কানে কানে কথার দু’টি দুল নিত্য নূতন ভূষণ দিও প্রেমের কামনার॥ পুরুষ : কোন নামেতে ডাকি সাধ না মেটে কোনো নামে তব নাম-গানে সব কবি হার মানে ধরাধামে। স্ত্রী : সুখের দিনে সখি ব’লো সেই তো মধুর নাম দুখের দিনে বন্ধু ব’লে ডেকো অবিরাম। নিরালাতে রানী বলো শ্রবণ অভিরাম বুকে চেপে প্রিয়া ব’লো সেই তো আমার নাম॥
নাটিকাঃ ‘বিয়ে বাড়ি’